পবিত্র জীবনী (১১তম পাতা)
দাঊদ আত্তায়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৬৫ হিজরী : ৭৮১ খৃস্টাব্দ)
এই দাঊদ যদি আগেকার যুগে থাকতো অবশ্য আল্লাহ তাআলা তাঁর গল্পেরও বিবরণ দিতেন। ধনৈশ্বর্য ছাড়া আল্লাহ তাআলা তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। বংশীয় কৌলীন্য ব্যতীত যাকে সম্মানিত করেছেন। মহান আল্লাহ তাআলা যাকে মনুষ্য সমাজ ব্যতিরেকে সঙ্গ দিয়েছেন। যিকিরে জবান সিক্ত রাখতেন। শৃঙ্খলিত হওয়ার আগে নিজেকে আনুগত্যের নিগড়ে নিগড়িত করেন।
দানশীলতা লাগাম ডান হাতে রেখেছেন। অনায়াস...
লাইস বিন সা’দ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৭৫ হিজরী : ৭৯১ খৃস্টাব্দ)
যাঁর সততা বিদ্যুৎবেগে তাকে জান্নাতে নিয়ে গিয়েছিল। আখেরাতের গুপ্তভা-ার পাওয়ার লক্ষ্যে দুনিয়ার দিরহাম খরচ করেছিল। আলো ও জ্যোতির কলম দিয়ে নিজের জীবনগল্প লিখেছেন। মানুষ তাকে পেয়ে স্বস্তিতে কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়ে ক্লান্ত। সব ধরনের খায়েশ, হাউস ও স্বাদ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। দান-অবদানে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন হয়েছিলেন। দানশীলতার লাগাম নিজের ডান হাতে ছিল। দিয়ারে ...
ইমাম মালিক বিন আনাস রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৭৯ হিজরী : ৭৯৫ খৃস্টাব্দ)
এমন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন যার সদস্যদের বুকে (সদা) কুরআন থাকে। যারা কুরআনের ধারক। যুহদ ও বিনয় দিয়ে মানুষের হৃদয়রাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন। মমতাময়ী মা দুগ্ধের সাথে ঈমান ও আদব-শিষ্টাচারও পান করিয়েছিলেন। যখনই রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস বর্ণনা করেছেন তখনই তিনি উযূ অবস্থায় পবিত্র ছিলেন। দারুল হিজরতের ইমাম। হিজরত-ভূমির তিনি ইমাম। উম্মতের প্র...
দাইগাম বিন মালিক রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৮০ হিজরী : ৭৯৬ খৃস্টাব্দ)
যাঁর যুহদের কেন্দ্রবিন্দু ছিল কান্না আর কান্না। ইবাদতের স্বাদ হৃৎপি-কে আস্বাদন করিয়েছিলেন। চোখের পানিতে আত্মা প্রক্ষালিত ব্যক্তি। অশ্রুবিধৌত হৃদয় যার। সালাত যার পৃষ্ঠদেশ সোজা করে দিয়েছে। পিঠের ঋজুতা সৃষ্টি হয়েছে নামাযের মাধ্যমে। জাহান্নামের আলোচনা যাকে আনন্দ করতে দেয়নি। দোযখের চিন্তায় বিনোদন বঞ্চিত এক ব্যক্তি। হৃদয়কম্পিত একজন মানুষ। ভীতসন্ত্রস্ত ইনসান...
আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৮১ হিজরী : ৭৯৭ খৃস্টাব্দ)
তাকওয়া ও যুহদ দিয়ে যিনি দুনিয়ার সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। হৃদয় কুঠরিতে ছিল যিকিরের চেরাগ এবং দানের স্টোর। যাঁর মধ্যে সমাবেশ ঘটেছিল সব ধরনের ভালো ও কল্যাণমূলক কাজ। এমন এক ব্যক্তি যাঁর অন্তরে দুনিয়ার সুখ্যাতি শক্তি হারিয়ে আহত শার্দূলে পরিণত হয়েছিল। যাঁর চোখের সামনে সুনামের অনুপ্রেরণা-সরোবর শুকিয়ে গিয়েছিল। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইবনুল মুবারক ইবনে ওয়াযিহ তামীমী ম...
আব্দুল্লাহ্ উমারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৮৪ হিজরী : ৮০০ খৃস্টাব্দ)
আলো ও নূরের কালি দিয়ে ইতিহাস যার নামটি লিখেছে। সোনার আখরে যান নামটি ইতিহাসে খোদাইকৃত। যাঁর প্রভাবে রাজা-বাদশাহদের সিংহাসন কেঁপেছে। যাঁর অপরিসীম তাকওয়া এক হাজার গুনাহগার লোকের মাঝে বিতরণ করে দিলে তারা সবাই বুযর্গে পরিণত হয়ে যাবে। দুনিয়ায় তিনি আল্লাহ তাআলার জন্য হয়েছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছেন আল্লাহ তাআলা যেন তার জন্য আখেরাতে হয়ে যান। স্বপ্নীল সত্য কথাব...
ফুযাইল বিন আয়ায রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৮৭ হিজরী : ৮০৩ খৃস্টাব্দ)
সৎপরায়ণ মনীষীদের আদর্শ বিদ্যাপীঠ। দেহমনে যিনি অমর লোকদের শীর্ষে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিলেন। যুহদ ও তাকওয়ার তকমা পরিধান করে নিজেকে করেছিলেন সুসজ্জিত। আত্মনিয়ন্ত্রিত ছিলেন সবসময়। ইসলাম যাকে নিজের নামটি অমর ব্যক্তিদের সারিতে লিখতে সুযোগদান করেছিল। সৎকর্মপরায়ণ পূর্বসূরিদের তিনি একজন। তিনি আবূ আলী ফুযাইল বিন আয়ায তামীমী খুরাসানী। নেতৃস্থানীয় মুসলিম দুনিয়াত্যাগীদের তিনি অ...
আব্দুল্লাহ্ইবনে ইদ্রীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৯২ হিজরী : ৮০৮ খৃস্টাব্দ)
কল্পনাসদৃশ কীর্তিমান জীবন যাঁর। তাকওয়ার জগতে তিনিই তাঁর উদারহণ। অদ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব। বাড়িতে বসে চার হাজার বার কুরআন খতম দিয়েছিলেন। (কোন কিছু চেয়ে) কারও প্রতি যার হাত সম্প্রসারিত হয়নি। সাদামাঠা জীবনযাপন করতেন। সর্বাধিক মোটা কাপড় পরিধান করতেন। রাজা-বাদশাহ’র চেয়ে বেশি যার ইজ্জত-সম্মান ও সমীহ ছিল। আদর্শ ও অনুকরণীয় ব্যক্তি। ইমামুল মুসলিমীন। মুসলিম জাহানের ক...