পবিত্র জীবনী (১০ম পাতা)
হাসসান ইবনে আবী সিনান রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৫১ হিজরী : ৭৬৮ খৃস্টাব্দ)
অহেতুক একটি প্রশ্ন, কত বছর আগে এই কুঠরিটি নির্মিত হয়েছে?, মন ও প্রবৃত্তি কর্তৃক এই প্রশ্ন করার থেকে এক বছর ধরে সিয়ামসাধনায় নিমগ্ন ছিলেন। তাকওয়া যার দু’চোখের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিয়েছিল। সিয়ামসাধনার সায়রে অবগাহন করে যিনি মুক্তা আহরণ করেছিলেন। তিনি হাস্সান ইবনে আবী সিনান। বসরা নগরীর অধিবাসী। অন্যতম মুত্তাকী ও ইবাদতগুজার ব্যক্তি। আরবী, ফারসী ও হিব্রু ভাষায় হস্...
উহাইব ইবনুল ওরদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৫৩ হিজরী : ৭৭০ খৃস্টাব্দ)
শপথ নিয়ে যিনি প্রত্যয়দীপ্ত। মাওলা দেখতে পাবে না তারে হাস্যরত। মনোরোগ চিকিৎসার উস্তাদ। আধ্যাত্মিক চিকিৎসক। শতভাগ হালাল আহার্যের বদৌলতে আল্লাহ তাআলা যার মর্যাদা সমুন্নত করেছিলেন। যুহদ ও দুনিয়াবিমুখিতার এক মুক্তা। তাকওয়ার জগতের এক মণি। মক্কা শরীফের এক ইবাদতগুজার ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তি। তিনি উহাইব ইবনুল ওরদ ইবনে আবিল ওরদ মাখযূমী। আসল নাম হল আব্দুল ওহ্যাব। তাসগীর বা ক্ষু...
আওযায়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৫৭ হিজরী : ৭৭৪ খৃস্টাব্দ)
যাঁর দুনিয়া প্রস্থানে ইলম ও জ্ঞান শোকের কাপড় পরিধান করেছিল। যাঁর কথা সম্রাটদের তরবারি অপেক্ষা ভীতিকর ছিল। আলেমের উপাধি নিয়ে যিনি দুনিয়াবাসীর মাঝে জীবনযাপন করেছিলেন। আকাশবাসীদের মাঝে যিনি শাহাদাতের মর্যাদায় ভূষিত ছিলেন। দুনিয়া সেজেগোছে যাঁর সামনে হাজির হয়েছিল। কিন্তু তিনি দু’চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। দুনিয়া তার কাছে মরীচিকা ও বৃথা আশার ছলনা ছিল। তিনি আব্দুর রহমান ইবনে আমর আলআওযা...
ইবনু আবী যি’ব রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৫৮ হিজরী : ৭৭৪ খৃস্টাব্দ)
যিনি জীবদ্দশায় রাজা-বাদশাহদের পায়ের তলার মাটি কাঁপাতেন। যার কথায় হৃদয়তন্ত্রী ঝঙ্কৃত হতো। হৃদয়ে ছিল শুধু আখেরাতের চিন্তা-ভাবনা। তিনি মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রাহমান ইবনুল মুগীরা ইবনুল হারিস ইবনে আবী যি’ব রহ.। শাইখুল ইসলাম আবুল হারিস কুরাশী আমেরী মাদানী। ফকীহ, মুহাদ্দিস ও যাহিদ। কথাবার্তায় এবং চালচলনে যিনি বিখ্যাত তাবঈ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব রহ. এর মতো ছিলেন।
...
হায়াত বিন শুরাই রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৫৮ হিজরী : ৭৭৪ খৃস্টাব্দ)
নিজের বেতন-ভাতা হাতে পেয়ে দান করে দিতেন। বাড়িতে ফিরে এসে দানকৃত সমুদয় সম্পত্তি বিছানার নিচে পেয়ে যেতেন। চোখের পানিতে দু’নয়ন ভাসিয়ে আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগী করেছেন। যাঁর আচার-আচরণ বর্ণাতীত ছিল। ভদ্র, শিষ্ট, ইবাদতগুজার, বুযর্গ, শাস্ত্রীয় প-িতপ্রবর, ফকীহ ও ইসলামী আইনজ্ঞ এবং মিসর দেশের প্রধান মুফতী ও আলেমে দ্বীন। তিনি আবূ যুরআ’ হায়াত বিন শুরাই ইবনে সাফওয়ান ইবনে মালি...
সুলাইমান খাওয়্যাস রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৬০ হিজরী : ৭৭৭ খৃস্টাব্দ)
কবরের জীবনে আলো পাওয়ার আশায় যিনি রাতের আঁধারে বিনিদ্র থেকে ইবাদত-বন্দেগী করেছিলেন। আবিদ ও যাহিদ। সিরয়ী ব্যক্তিত্বপূর্ণ মনীষীদের তিনি একজন। নিজের জন্য বিশেষ এক হায়াত ও জীবনকাল চিত্রিত করেছেন। যার পরিধি অনেক উঁচু এবং দুর্ভেদ্য। তিনি সুলাইমান খাওয়্যাস। ফিতনা-ফেসাদ ও খায়েশ-প্রবৃত্তি হৃদয়কে আচ্ছন্ন করতে অনেক কোশেশ করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। কান্নাকাটি আর রোনাজ...
সুফইয়ান সাওরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৬১ হিজরী : ৭৭৮ খৃস্টাব্দ)
দুনিয়ার প্রতি নির্লিপ্ত ছিলেন। যার ফলে আল্লাহ তাআলা তাঁর অন্তরে হিকমত ও প্রজ্ঞা অঙ্কুরিত করেছেন। আখেরাতে যা অমর ও অবিনশ্বর হয়ে থাকবে দুনিয়ার জন্য তাই রেখে গেছেন। দুনিয়ায় সাঁতার কেটেছেন তবে কাপড় ভেজেনি। জাগতিক কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন; কিন্তু দুনিয়ার মোহে বিমোহিত হননি। তাকওয়ার তালা দিয়ে খায়েশ ও প্রবৃত্তির দোআর রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন।
ইলম তলব করেছেন শৈশবকালের ক...
ইবরাহীম ইবনে আদহাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৬১ হিজরী : ৭৭৮ খৃস্টাব্দ)
দুনিয়াত্যাগের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আখেরাত অনুরাগীদের কিংবদন্তী। দুনিয়ায় যার আমৃত্যু শ্লোগান ছিল তাকওয়া আর পরহেযগারি। মোলায়েম সূক্ষè কাপড় ছেড়ে মোটা কাপড়েরর আড়ালে ছিলেন। পুরনো জীবন-অভিধান ছুড়ে ফেলে উন্মুক্ত করেছেন অমর জীবন-অভিধান। পৃথিবীর বুকে যারা অমর হয়ে থাকবেন তিনি তাদেরই একজন।
ঐ দলের তিনি সদস্য যাঁরা দুনিয়াকে তুচ্ছ মনে করেছেন, যারা আত্মত্যাগের অতি চ...