পবিত্র জীবনী (২য় পাতা)
উসমান বিন মাযঊন রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ২ হিজরী : ৬২৪ খৃস্টাব্দ)
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাঁর জন্য কেঁদেছিলেন। যাঁকে তিনি চুমু খেয়েছিলেন। প্রবীণ এই সাহাবী তালি দেওয়া কাপড় দিয়ে দুনিয়াকে পরাস্ত করেছিলেন। শরীর পোঁছার আগেই যাঁর আত্মা উড়ে গেছে জান্নাতে। সাদামাঠা জীবনযাপন করতেন। পরকালের ধ্যানে মগ্ন। (আবিসিনিয়া ও মদীনা শরীফ) দুই হিজরতে ধন্য। দুনিয়া লাভ করেননি। দুনিয়াও তাঁকে ধরতে পারেনি। জীবনভর ছিলেন বু...
মুসআ’ব ইবনে উমায়ির রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ৩ হিজরী : ৬২৫ খৃস্টাব্দ)
তাঁর কল্পনাও ছিল না ইতিহাস প্রজন্ম থেকে বহু প্রজন্মে তাঁর গল্প-কাহিনীর পসরা সাজাবে। বংশ পরম্পরায় শোনাবে তাঁর ত্যাগের মহিমা। একজন যুবক। অমর লোকদের ফিরিস্তিতে যাঁর নামখানি লিপিবদ্ধ। হৃদয় কণ্ঠে ধ্বনিত হয় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালোবাসা। ঈমান ও বিশ্বাসের বীর সিপাহসালার। যাঁর কথার শব্দমালা নিঃশব্দে স্থান করে নিয়েছিল আনসার সাহাবা কেরামের হৃদয়ের মণিকোঠায়। কথাগুলো চে...
আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ১৮ হিজরী : ৬৩৯ খৃস্টাব্দ)
ফেরেশতা দীক্ষিত ব্যক্তি। নিজে জান্নাতে পৌঁছার আগেই তাঁর দন্তদ্বয় স্থান করে নেয় সেখানে। তিনি প্রধান সেনাপতি। দেখলে তুমিও করুণা বোধ করতে। একহাতে দান করতেন প্রচুর। দান করে দীনদুঃখী লোকদের আনন্দ দিতেন। আরেক হাতে শত্রুবাহিনীর অন্তরে ছড়িয়ে দিতেন ভীতি। তিনি এই উম্মতের বিশ্বস্ত ব্যক্তি। সিপাহসালার, প্রধান কমান্ডার। আমির ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনুল র্জারাহ কুরাইশ...
মুয়ায বিন জাবাল রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ১৮ হিজরী : ৬৩৯ খৃস্টাব্দ)
রাসূল ﷺ-কে দেখে দেখে যিনি ধন্য। দু’চোখে নবীজীর দর্শনে প্রীত। ঈমান ও বিশ্বাসের গলনপাত্রে ইসলাম যাঁকে গলিয়েছে। বিশ্বাসের মানদণ্ডে যিনি নিকষিত। নবীজী ﷺ-এর সামনে যিনি কুরআন খতম করেছেন। যাঁর ভালোবাসা রাসূলের মানসপটে বদ্ধমূল। স্বয়ং রাসূলে আকরাম ﷺ যাঁকে ঈমান ও যুহদ শিখিয়েছেন। তিনি হলেন মুয়ায বিন জাবাল রা.। যাহেদ ও দুনিয়া বিমুখ সাধকদের সাধক। উলামা ও জ্ঞানী লোকদে...
সাঈদ ইবনে আমির আল্জুমাহী রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ২০ হিজরী : ৬৪১ খৃস্টাব্দ)
ঈমান ও বিশ্বাসের কিংবদন্তি, অনুকরণীয় আদর্শ ও স্তম্ভ। যাহেদ ও সাধকদের মধ্যে অন্যমত সাধক। সিপাহসালার এবং আমির-ধনাঢ্য হয়েও ইতিহাস যাঁর নাম রেকর্ড করেছে দীনদরিদ্রের তালিকায়। সাদামাঠা জীবনের আড়ালে থেকে যায় যাঁর মর্যাদা ও গুণাবলী। চাপা পড়ে আছে যাঁর অসংখ্য বিশেষণ। অনাড়ম্বর জীবনযাত্রা আর বিনীত পোশাকে থাকতেন তিনি। হয়তো নিজেকে নস্যিই ভাবতেন তিনি। তাঁর জীবন-অভ...
উমাইর ইবনে সা’দ রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ২০ হিজরী : ৬৪১ খৃস্টাব্দ)
হৃদয়ের তন্ত্রীতে যুহদের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। ইতিহাসের গতিতে চলেছেন সম্মুখ পানে। ইতিহাস তাঁকে স্থান দিয়েছে বড়দের সারিতে। যুহদ ফেরেশতা তাঁর হৃদয়ের সাথে করমর্দন করেছে। জাগতিক ভীতি দিয়ে পরকালের নিরাপত্তা খরিদ করেছেন। উমাইর ইবনে সা’দ। ইতিহাসের পাতায় পাতায় যাঁর গল্প ধ্বনিত হচ্ছে। তিনি আমীর ও যাহেদ। সিরিয়া বিজয়ের সহযোগী। হযরত উমর রা. তাঁকে হিমস শহরের নগরপাল নিযুক্ত...
আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ৩২ হিজরী : ৬৫৩ খৃস্টাব্দ)
যাঁর পদের নিম্নভাগ আমলনামার নিক্তিতে উহুদ পর্বতের চেয়ে অধিক ভারী ও ক্ষমতাসম্পন্ন। র্শিক ও পৌত্তলিকতার কর্ণকুহরে যিনি সর্বপ্রথম কুরআনের গগনবিদারী আওয়াজ তুলে ধ্বনিত করেছিলেন। যাঁর বিশ্বাস ও ঈমান ছিল সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় সুদৃঢ় ও অবিচল। যাঁর ঈমানের কাছেও ঘেঁষতে পারেনি দুর্বলতাজনিত কোন দ্বিধা ও দোটানা। ক্ষীণ শরীর নিয়ে যিনি নিজেকে ফেলেছিলেন ধ্বংস ও নিধনের শ্বাদন্তে।...
আবূ যর গিফারী রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ৩২ হিজরী : ৬৫৩ খৃস্টাব্দ)
হৃদয় কুঠরি যিকিরে পরিপূর্ণ, আল্লাহর স্মরণে আলোকিত। মহানবী ﷺ নবী হিসেবে প্রেরিত হওয়ার আগেই যিনি আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করেছিলেন। ঈসা আলাইহিস সালামের যুহদ ও সাধনা যে দেখতে চায় সে আবূ যর গিফারীকে দেখুক। পরিণামে ভঙ্গুর বাড়িঘর তিনি বানাননি। কথা দিয়ে যিনি যুহদ ও দুনিয়া বিমুখিতার শ্লোগান বানিয়েছেন। অল্পতুষ্টি দিয়ে নিজের অন্তরকে পরিপূর্ণ করেছিলেন। ইয়াকীন ও পূর্ণ আস্থায়...