রমযানের শেষ দশকে আরও সজাগ হতে হবে
রমযানুল মুবারাকের বাকি রাত ও দিনগুলোতে সাধ্য অনুযায়ী আমল করে আল্লাহর প্রতি সুধারণা, আশা রাখুন। জীবনে প্রতিকূলতা, যেমন: অসুস্থতা (নিজের হোক বা ঘনিষ্ঠ কারুর), বিপদাপদ, বা যেকোনো সমস্যা (যা কিনা নিজের নিয়ন্ত্রণে নয়) ইত্যাদি থাকলে নফল আমল কম হোক, গুনাহ না হলেই হল। আর গুনাহ হলে তো তৎক্ষণাৎ তওবা করে নিতে হবে। সবার জন্য এটাই বেশি জরুরি যেন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারি, গুনাহ হলেই তওবা করে নিই। নিজেকে পাক-সাফ করে আল্লাহর দরবারে হাজির করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা অব্যাহত রাখাটি জরুরি।
রমযানের শেষ দশক যেহেতু সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূণৃ তাই এ সময়গুলোতে অবহেলা -ও গাফলতি বড়ই দুর্ভাগ্যজনক! হাদীসে “রমযানে গুনাহ ক্ষমা না করতে পারার” মতন “লাইলাতুল কদর থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত”দের ব্যাপারে স্পষ্ট এসেছে দুঃসংবাদ -উল্লেখ করা হয়েছে! -আল্লাহ আমাদেরকে পূর্ণ হেফাযত করুন!
আমরা সামনের রাতগুলোতে (ইফতারর পর পরই) নিজেকে -খুব বেশি আল্লাহমুখী করব ইনশাআল্লাহ। যারা আমরা ইতেকাফ করছি না, দুর্বল, বেশি আমল করার সাহস করতে পারি না, তারা যেন (সামনের অবশিষ্ট রাতগুলোতে) মাগরিব থেকেই এশা পর্যন্ত, আবার এশা ও তারাবীর পর পর কিছু সময় একনিষ্ঠভাবে ব্যক্তিগতভাবে নফল নামায, তেলাওয়াত, তাসবীহ, দোআ-দরূদের মশগুল থাকি। তারপর (খুব প্রয়োজন হলে) কিছুটা ঘুমিয়ে, সাহরির জন্য তুলনামূলক বেশি আগে উঠে একইভাবে সাধ্যমতন ব্যক্তিগতভাবে নফল নামায, তেলাওয়াত, তাসবীহ, দোআ-দরূদের মশগুল হয়ে যাই ইনশাআল্লাহ! পুরুষগণ জামআতে ফজর-এশা পড়ার ব্যাপারে বিশেষ যত্নবান থাকব — যেটা সারা বছরই জরুরি।
পবিত্র রমযান তো চলে যাবেই, কিন্তু তার রহমত, বরকত, মাগফিরাত, নাজাত-এর যত সুব্যবস্থা — সেটিতো চিরকালের জন্য! একটু সাধনা করলেই চিরস্থায়ী কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব। বান্দা খুবই দুর্বল — ঠিক, কিন্তু মালিক তো অশেষ-অসীম দয়াময়! আমাদের গুনাহ আর কত বড়, আমাদের চেষ্টা-সাধনা আর কতটুকু?! হাঁ আমাদের করণীয় কাজ (খাঁটি তওবা ও সৎ প্রচেষ্টা) অব্যাহত রেখে যখন আল্লাহর কাছে হাত পাতব, মাথা ঝুঁকাব (তাঁর কাছেই আত্মসমর্পণ করব) — তিনি আমাদেরকে তাঁর কাছে টেনে নেমেন, ক্ষমা করে দেবেন (এটি তাঁর ঘোষণা ও ওয়াদা)! মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তো সুযোগ রয়েছে, রমযানে এটি আরও সহজ! এতে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ। দুনিয়ার বাকি জীবন (রমযানে আল্লাহ অভিমুখী হওয়ার) এ কল্যাণ অনুভূত হবে ইনশাআল্লাহ। আর আখেরাতে তো ঈমানদারগণের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার!
আল্লাহ! আমাদের জন্য লাইলাতুল কদর সহ তোমার সকল কল্যাণ গ্রহণ করাকে সহজ করে দাও! আমীন।
Last Updated on March 20, 2025 @ 6:25 am by IslamInLife বাংলা