১৯তম তারাবীহ: ২২তম পারার মর্মার্থ
একুশ পারার শেষাংশে ‘উম্মাহাতুল মু’মিনীন’ সম্পর্কে কিছু আলোচনা এসেছে। যেহেতু বাইশ পারার শুরুতে একই বিষয়ের ধারাবহিক আলোচনা রয়েছে, তাই বাইশ পারার শুরুতেই পুরো বিষয়টা এক সাথে আলোচনা করা হল।
হাদীস শরীফে (২৮-৩৪) এই আয়াতগুলোর প্রেক্ষাপট এভাবে বর্ণিত হয়েছে:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায় যখন চারদিকে মুসলমানদের বিজয়ধ্বনি সমুচ্চারিত হতে লাগল, তখন ‘উম্মাহাতুল মু’মিনীন’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে তাদের ভরণ-পোষণ কিছুটা বাড়িয়ে দেয়ার আবেদন জানান। এ সম্পর্কে তখন আয়াত নাযিল হয়। তাদের সামনে দুটি বিষয় উপস্থাপন করা হয় এবং এ দুয়ের যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার হুকুম প্রদান করা হয়। হয় তারা সম্পদের প্রচুর্য ও স্বাচ্ছন্দময় জীবন-যাপন করার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে পৃথক হয়ে যাবেন, অথবা আখেরাতের সীমাহীন ও চিরস্থায়ী নেয়ামতকে প্রধান্য দিয়ে দুনিার সাময়িক কষ্ট যাতনাকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেন এবং আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতে সদা তুষ্ট থাকবেন। এ ক্ষেত্রে ‘উম্মাহাতুল মু’মিনীন’ আখারাতের বিষয়টিকে প্রাধন্য দেন। এরপর উম্মাহাতুল মু’মিনীনকে সাতটি বিধান দেয়া হয়েছে
* পুরুষদের সাথে কথা বলার সময় নমনীয়তা ও কোমলতা অবলম্বন করো না।
অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ো না, কেননা একজন মুসলমান নারীর সর্বাধিক সংরক্ষিত স্থান হল নিজের ঘর।
জাহেলী যুগের নারীদের মত নিজেদের বেশ-ভূষা জাহির করে বের হয়ো না।
নামাজের পাবন্দি করো।
যাকাত আদায় করো, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য করো এবং কোরআন তেলাওয়াত ও হাদীসে রাসূলের মুযাকারা করতে থাক।
*উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়া সূরা আহযাবে আরো যে বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছে।
১. সমাজে একজন মুসলমানের ব্যক্তিত্ব অনুকরণীয় ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করে তোলার জন্য তার মাঝে নিম্নবর্ণিত দশটি গুণ থাকা প্রয়োজন। যে নর-নারীরা তা হাসিল করতে পারবে, তারা আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান লাভ করবে।
গুণগুলো হল,
*ইসলাম (পুরোপুরিভাবে আত্মসমর্পণ করা), *ঈমান (দ্বীনের অত্যাবশ্যকীয় বিষয়াবলীর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা),
*কুনুত (সদা আল্লাহর অনুগত থাকা),
*সততা অর্জন করা, সবর ইখতিয়ার করা, (নামাজে) খুশু-খুযু অবলম্বন করা, *সদকা (যাকাত ও অন্যান্য নফল দান) আদায় করা,
*রোযা রাখা, * লজ্জাস্থানের হেফাজত করা এবং বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার যিকির করতে থাকা। (৩৫)
পুরো পড়তে ক্লিক করুন: ২২তম পারা
Last Updated on July 1, 2024 @ 3:24 pm by IslamInLife বাংলা