১৭তম তারাবীহ: ২০তম পারার মর্মার্থ
২০তম পারার শুরুতে আল্লাহ পাকের কুদরত ও একত্ববাদের ব্যাপারে মজবুত পাঁচটি দলীল পেশ করা হয়েছে। দলীলগুলো প্রশ্নের আকারে উল্লেখ করা হয়েছে।
১ম দলীলঃ কে শ্রেষ্ঠ, যিনি আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন, আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং বৃষ্টি দিয়ে সবুজ-শ্যামল সুন্দর সুন্দর বাগ-বাগিচা সাজিয়েছেন সেই আল্লাহ নাকি যাদেরকে এই কাফেররা শরিক করে তারা?
২য় দলীলঃ যে সত্তা বিশাল পাহাড় স্থাপন করেছেন, মিঠা পানি আর লবণাক্ত পানি যাতে এক সাথে মিশে না যায় সেজন্য উভয় পানির মাঝে এক কুদরতি দেয়াল তুলে দিয়েছেন সেই শক্তিশালী দয়াময় খোদাকে মূর্তির বরাবর মনে করা বে-ইনসাফী নয় কি?
৩য় দলীলঃ অসহায় অবস্থায়, দুঃখ-কষ্টের সময় এবং অসুস্থতার মুহুর্তে কার কাছে প্রার্থনা করা হয়? রাব্বুল আলামীনের কাছে নাকি প্রাণহীন এই মূর্তিগুলোর কাছে?
৪র্থ দলীলঃ গভীর অন্ধকারে জলে ও স্থলে কে পথের দিশা দেন? বৃষ্টি বর্ষণের পূর্ব মুহূর্তে শীতল ঠাণ্ডা বাতাস কে প্রবাহিত করেন? রব্বে কারীম নাকি হাতে গড়া এই মূর্তিগুলো?
৫ম দলীলঃ মানুষকে কে সৃষ্টি করল? আর দ্বিতীয়বার কে তাকে জীবন দান করবে? এ ক্ষেত্রে রাব্বুল আলামিন ছাড়া কে আছে যার নাম তোমরা পেশ করতে পারো।
কুরআনের সাধারণ রীতি হল আল্লাহ তাআলার উলূহিয়্যাত ও ওয়াহ্দানিয়্যাতের, ইলাহ এবং এক হওয়ার পক্ষে মানুষ ও বিশ্ব জগতের চরম বাস্তবতাকে দলীল হিসেবে পেশ করা। এভাবে কুরআন সারা বিশ্বটাকেই বিচার বিশ্লেষণের একটি ময়দান বানিয়ে দিয়েছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত ইসলাম-বিরোধীরাও মেনে নিতে বাধ্য হয় যে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই, যে সব কাজ করতে সক্ষম। (৫৯-৬৬)
*তাওহীদের পরে ঈমানের বুনিয়াদী বিষয় হল মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রতি বিশ্বাস। এই বুনিয়াদী বিষয়টি মুশরিকদের বুঝে আসে না। তারা বলে, এটা কিভাবে সম্ভব যে, মাটি হয়ে যাওয়ার পরে আমাদেরকে আবার জীবিত করা হবে? তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ তাআলা নবীকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। আর মুশরিকদেরকে শাস্তির কথা শুনিয়েছেন। পূর্বের কাফির মুশরিকদের যে শাস্তি দেয়া হয়েছিল তোমাদেরকেও সে শাস্তি দেয়া হবে। তোমরা যমীনে সফর করে দেখ, তাদের সাথে কি আচরণ করা হয়েছিল?!
*এরপর কেয়ামতের কিছু বর্ণনা দেয়া হয়েছে। শিঙ্গায় ফুঁ দেয়ার আগ পর্যন্ত এই বিশ্ব বাকি থাকবে। ইসরাফিলের আ. প্রথম ফুৎকারে আসমান-জমিনের সকল সৃষ্টির মাঝে ভয় আর আতংক ছয়িয়ে পড়বে। ২য় ফুৎকারে সবকিছু বিনাশ হয়ে যাবে। ৩য় ফুৎকারে কবর থেকে সকলে জীবিত হয়ে উঠে আসবে।
সূরাটির শুরুতে কুরআনের গুরুত্ব আলাচনা করা হয়েছিল, আর শেষে বলা হচ্ছে, কুরআন কারীমের শিক্ষা মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরার মাঝেই রয়েছে মানব জীবনের চরম সফলতা এবং পরম সৌভাগ্য।
পুরো পড়তে ক্লিক করুন: ২০তম পারা
Last Updated on June 30, 2024 @ 5:59 pm by IslamInLife বাংলা