কুরআনআখলাক ও আত্মশুদ্ধিতওবা-ইস্তেগফারচিন্তার খোরাক​

এ আয়াতের উপর চিন্তা করে জীবন সংশোধন করুন

বিগত শতাব্দীতে, উপমহাদেশে ক্ষণজন্মা যত আল্লাহওয়ালা এসেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী رحمة الله عليه। হাকীমুল উম্মত বা ‘উম্মতের হাকীম’ তার লকব বা উপাধি। তার দ্বীনি খেদমত বিশ্বব্যাপি ও বিস্ময়কর। হাকীমুল উম্মত رحمة الله عليه -এর বিশিষ্ট খলিফা, শায়খ মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর رحمة الله عليه  আর তার খলিফা আমাদের সকলের মুরুব্বি, শ্রদ্ধেয় শায়খ হামীদুর রহমান সাহেব। আল্লাহ পাক উনার ছায়াকে আমাদের ওপর আরো দীর্ঘায়িত করুন।

উনি শায়খ মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর رحمة الله عليه-এর দীর্ঘ সোহবত দ্বারা ধন্য সৌভাগ্যবান মানুষ। আমরা ধন্য শায়খ হামীদুর রহমান সাহেবকে পেয়ে। তিনি যতবার জীবনে দ্বীনি কথা বলেছেন, বহুবার সূরা বাকারার ২৮১ নম্বর আয়াতটি তেলাওয়াত করেছেন:

وتاقويومن تر جعونافيه الى الله -ثم تو فى كل نفس ما كسبت و هم لا يظلمون

যার অর্থ: এবং তোমরা সেই দিনকে ভয় কর, যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলার কাছে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। অতঃপর পরিপূর্ণভাবে দেওয়া হবে, যা সে অর্জন করেছে আর তাদের প্রতি কোনো জুলুম করা হবে না।

আর শায়খ হামীদুর রহমান সাহেব এ আয়াতটি পড়ার পর অনেকবারই এ কথাটি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বহুবার নিজে শায়খ মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জেী হুজুর رحمة الله عليه -কেও এ আয়াতটি তেলাওয়াত করে কথা শুরু করতে শুনেছেন।

হক যে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে, তার প্রধান মাধ্যমতো এটিই। আল্লাহওয়ালাগণ তাদের পূর্ববর্তীদের কথা নকল করেছেন। তারা আসলে নকল করার জন্য কবুল ও মকবুল হয়েছেন। কারণ, তাদের সবার জীবন ছিল সেসব কথার বাস্তব নমুনা। আল্লাহ তাআলা দয়া করে সেই তাওফীক আমাদেরও দিন। আমীন।

আয়াতের তরজমা লক্ষ করুন ও আমাদের প্রতি আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ চিন্তা করুন। তিনি কতই না দয়ামাখা ভাষায় আমাদেরকে – তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেছেন।

প্রতিটি মুসলমানের জন্য উচিত হবে, সে যেন প্রতিদিন একটি সময় নিজের কৃতকর্ম নিয়ে ভাবে। এ কথা মনের মধ্যে হাজির করবে যে, আমিতো আল্লাহ তাআলার বান্দা ছাড়া আর কিছুই না। আমাকে পার্থিব জীবন দেওয়া হয়েছে, শত নেয়ামত দেওয়া হয়েছে। কেন? উদ্দেশ্য কী? আমাকে শীঘ্রই ফেরত যেতে হবে মালিকের কাছে। কী জবাব প্রস্তুত করছি? আমার কাজগুলো কি আল্লাহ পাকের কাছে উপস্থিত করার মতো?

এভাবে চিন্তার মাধ্যমেই ইনশাআল্লাহ জীবন-ঘড়ির কাটাটি সঠিকভাবে চলবে, জীবনের উদ্দেশ্য অর্জিত হবে। না হলে পার্থিব সবকিছু পেয়েও চিরকালের জন্য সব হারাতে হবে। অর্থাৎ, হতে পারে দুনিয়ায় সব পেয়েছি কিন্তু আল্লাহ তাআলাকে অসন্তুষ্ট করে চিরকালের জন্য ধ্বংস হতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের রক্ষা করুন। আমীন।

Last Updated on December 6, 2023 @ 7:58 am by IslamInLife বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *