রমযান আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার মাস
আল্লাহ তাআলার রহমত ছাড়া কেউ কিছু অর্জন করতে পারে না। যে মুসলমান আরেকটি রমযান মাস জীবনে পেল তা আল্লাহ তাআলারই দান; নেহায়েৎ তাঁরই করুণা।
দেখার বিষয় হল, আমরা এত বড় নেয়ামত পেয়ে কী করি? আমাদের সালাফে সালেহীন (পূর্ববর্তী নেককারগণ) রাসূলে কারীম ﷺ–এর সুন্নতের অনুসরণে রমযান মাসে ইবাদতে বিশেষভাবে মনোযোগী হতেন।
পুরো রমযানে রোযা রাখা, তারাবীহ পড়া, তেলাওয়াতে মগ্ন থাকা, দান-সাদকা বৃদ্ধি, নফল নামায অধিক পরিমানে পড়া। পাশাপাশি দোআ-ইস্তেগফার-কান্নাকাটি বাড়িয়ে দেওয়া, যিকির-আযকার বেশি করা, শবে কদর অন্বেষণ করা ইত্যাদি মুমিন বান্দাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলে। এই ব্যস্ততা তো এইজন্য যে, আল্লাহ তাআলার রহমত বহুগুণ বেশি ধাবিত হয়। আল্লাহ তাআলার দয়া-মায়া-মাগফিরাত বহুগুণ ঢালাওভাবে প্রবাহিত হয়। সস্তায় যদি কেউ হীরা পায়, কম দামে যদি কেউ অমূল্য জিনিস পায়, সে তো একটু বাড়িয়ে নিতেও রাজি। আল্লাহ তাআলার মহব্বত ও আল্লাহ তাআলার সাথে সুসম্পর্ক যদি এত কম ক্লেশে পাওয়া যায় তাহলে কে নিবে না?!
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দিন এই রমযানুল মুবারক-কে কদর করার। রমযানের কোনো একটি মুহূর্তও যেন আমরা গাফেল না থাকি (অন্তত এই প্রচেষ্টা থাকা দরকার), গুনাহ থেকে কমপক্ষে এই একটি মাস বেঁচে থাকি। মহামহিম আল্লাহ তাআলা এরই মাধ্যমে আমাদের হিম্মতকে বাড়িয়ে দিবেন এবং গুনাহ থেকে আজীবন বাঁচার তাওফীক মিলবে ইনশাআল্লাহ।
মূলত রমযান আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার মাস। কারণ, আল্লাহ তাআলা নিজে বলেছেন রমযান কুরআন নাযিলের মাস। কুরআন আল্লাহ তাআলার কালাম (বা কথা)। নবী কারীম ﷺ -এর উপর নাযিলকৃত এই কুরআনের মাধ্যমেই আমরা আল্লাহ তাআলাকে পেয়েছি। সুতরাং আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার অপূর্ব সুযোগ এই রমযান। নাজাত, ক্ষমা, সন্তুষ্টি, মহব্বত বান্দার অবস্থা ও যোগ্যতা অনুযায়ী আল্লাহ তাআলার থেকে নেওয়ার মাস এটি। আমরা সাধ্যানুযায়ী এই মাসের কদর করি। আল্লাহ তাআলার কাছে তাওফীক চাই ও চেষ্টা চালিয়ে যাই। সাহসকে তার পথে ব্যয় করলে তিনি মাহরুম করবেন না, ইনশাআল্লাহ।
Last Updated on December 12, 2024 @ 8:46 am by IslamInLife বাংলা