হায়াত বিন শুরাই রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৫৮ হিজরী : ৭৭৪ খৃস্টাব্দ)

নিজের বেতন-ভাতা হাতে পেয়ে দান করে দিতেন। বাড়িতে ফিরে এসে দানকৃত সমুদয় সম্পত্তি বিছানার নিচে পেয়ে যেতেন। চোখের পানিতে দু’নয়ন ভাসিয়ে আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগী করেছেন। যাঁর আচার-আচরণ বর্ণাতীত ছিল। ভদ্র, শিষ্ট, ইবাদতগুজার, বুযর্গ, শাস্ত্রীয় প-িতপ্রবর, ফকীহ ও ইসলামী আইনজ্ঞ এবং মিসর দেশের প্রধান মুফতী ও আলেমে দ্বীন। তিনি আবূ যুরআ’ হায়াত বিন শুরাই ইবনে সাফওয়ান ইবনে মালিক তুজিবী কিনদী মিসরী। বিশিষ্ট আলেম, হাফেযে হাদীস ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। যার দোআ গ্রহণযোগ্যতার মানদ-ে উত্তীর্ণ হতো। তিনি মুসতাজাবুদ্দাওয়াত। কোমল মনের অধিকারী। সদাশয়। কান্নাপ্রবণ ব্যক্তি।
ইবনুল মুবারক রহ. তার সম্পর্কে বলেন, হায়াতের কথা অনেকে আমার কাছে বলেছে। বস্তুত তিনি বর্ণিত হায়াতের চেয়ে বেশি বিশেষণে বিশেষিত ছিলেন। ইবনে ওহাব বলেন, হায়াতের চেয়ে বেশি আমল গোপনকারী অন্য কাউকে দেখিনি।
হায়াত রহ. বাৎসরিক ষাট দীনার ভাতা গ্রহণ করতেন। ভাতা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার আগেই সেগুলো দান করে দিতেন। এরপর বাড়িতে আসতেন। দেখতেন সেগুলো বিছানার নিচে বিদ্যমান। এ কথা তার এক ভাতিজা জানতে পারে। সেও ভাতা নিয়ে সবগুলো ভাতা দান করে দেয়। (চাচার ন্যায় শয্যার নিচে পাওয়ার আশায়) এসে দেখে শয্যার নিচে খালি। কিছুই পায়নি। চাচা হায়াতকে নালিশ করে। তিনি বললেন, দেখ আমাকে আমার পরওয়ারদেগার ইয়াকিন ও ধ্রুববিশ্বাসের বদৌলতে দিয়েছেন। আর তোমার ব্যাপারটা ছিল পরীক্ষামূলক…..
মহান এই মনীষী আখেরাতের উদ্দেশ্য দুনিয়া ত্যাগ করেন হিজরী ১৫৮ সালে।

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it