কুরআনকে বুকে টেনে নেয়ার মাস রমযান
পবিত্র কুরআনকে যদি রমযান মাসে আমরা কাছে টেনে না নিতে পারি তাহলে জীবনে আর কোন সময় পারব কুরআনকে আপন করতে? রমযান মাসে যদি কুরআনের হক না বুঝি আর কবে বুঝব? রমযান মাসে যদি কুরআন থেকে নিজেকে দূরে রাখি তাহলে আর কবে কুরআনকে কাছে পাব? রমযান মাসে যদি কুরআনের সঙ্গে কোনো বিশেষ সম্পর্ক না হয় আর কবে হবে?!
কুরআনুল কারীম এই উম্মতের জন্য কত বড় সৌভাগ্য! কিন্তু আজ কুরআনের জীবন তো দূরের কথা, উম্মত হয়ে আমরা কুরআনকে না তাঁর হক আদায় করে পড়ার চেষ্টা করছি, না বোঝার চেষ্টা করছি। আর না তার ওপর আমল করছি। যতটুকু পড়া, বোঝা ও আমল করছি সেখানেও হিসাব করলে দেখা যাবে আমাদের প্রবৃত্তির সিংহভাগ দখল রয়েছে (অর্থাৎ নিজ মনমতন করছি)! এটা বড় দুর্ভাগ্যজনক।
দেখুন রমযানে যদি কুরআনকে আমরা কাছে টানতে না পারি, বাস্তবিকই আর কবে বা কখন জীবনে কুরআনের বাস্তবায়ন হবে? আমরা জাতীয় চিন্তা ও কাজের বিষয়ে পেরেশান হয়ে যাই, কিন্তু ব্যক্তিগত অবস্থা কী? নিজের জীবনকে শোধরানো ও সংশোধনের চিন্তা উপেক্ষা করে জাতীয় উন্নতির চিন্তা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে?
ব্যক্তিগত কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে হোক বা তারাবীহর মাধ্যমে হোক, যদি রমযান মাসেও কুরআন নিয়ে ভাবার আমাদের সুযোগ না হয়, তাহলে আর অভিযোগ করে কী লাভ? নিজের গাফলতির শাস্তিই তো দুনিয়াতে নেমে আসছে। আল্লাহ না করুন, তওবা ছাড়া মৃত্যু হলে আখেরাতে কী হবে আমাদের?
Last Updated on June 24, 2024 @ 4:52 pm by IslamInLife বাংলা