দোআরমযান/রোযা

রমযানুল মুবারক ও দোআ

মুবারক রমযানের কথা উল্লেখ করে পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের স্মরণ করাচ্ছেন: (হে রাসূল আপনি আমার বান্দাদের বলে দিন) আমি তো কাছেই! দোআকারীর দোআ কবুলকারী  । [দেখুন সূরা বাকারা ১৮৫-১৮৬]।

আমাদের উচিত অবশ্যই সে শ্রেষ্ঠ সত্ত্বার আহ্বানকে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করা! সারা বছর সারা জীবনের আমল দোআ। রমযান মাসে দোআ বৃদ্ধি করলে দোআর উপকারিতা বহুগুণ লাভ হয়। কারণ রমযান ইবাদতের বিশেষ মৌসুম। ইবাদতই আল্লাহ তাআলা ও বান্দার মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি করে!

কিভাবে দোআ করব

আল্লাহ তাআলার দরবারে মনোযোগ সহকারে ও বিনয়ের সঙ্গে দোআ করতে হবে। দোআর শুরুতে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা বাক্য (যেমন: আলহামদুলিল্লাহ) কয়েকবার পড়া উচিত। তারপর প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করা উচিত। এরপর দোআ শুরু করুন। মন-প্রাণ ভরে আল্লাহ তাআলার কাছে আবেদন-নিবেদন করুন। তাড়াহুড়া করা অনুচিত। দোআর শেষাংশে আবারও দরূদ পড়া উচিত। আমিন বলে দোআ শেষ করব ইনশাআল্লাহ। প্রত্যেক দোআকারীকে দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে, আল্লাহ তাআলা আমার দোআ কবুল করেছেন, তিনি আমার জন্য সর্বাধিক কল্যাণের ফয়সালা করবেন।

আল্লাহ তাআলার প্রতি সুধারণা রাখতে হবে। যত বেশি সুধারণা রাখব তত বেশি কল্যাণপ্রাপ্ত হব আমরা!

রমযানে দোআ বৃদ্ধির একটি উপকার এও যে, বেশি দোআ করার অভ্যাস হয়ে যায়, যা কিনা আজীবনের এক বরকতময় অভ্যাস!

ছোট ছোট প্রচেষ্টা থেকেই বড় বড় ফল লাভ হয়ে থাকে!

ذَٰلِكَ فَضْلُ ٱللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَآءُ ۚ وَٱللَّهُ ذُو ٱلْفَضْلِ ٱلْعَظِيمِ ٤

এটি আল্লাহ তাআলার ‘ফযল’ (বিশেষ দান, অনুগ্রহ), যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন। আল্লাহ মহান (শ্রেষ্ঠ) অনুগ্রহকারী!

সূরা জুমু’আ – ৬২: ৪

Last Updated on March 7, 2024 @ 12:25 pm by IslamInLife বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it