ইবাদতআখলাক ও আত্মশুদ্ধিতওবা-ইস্তেগফাররমযান/রোযা

সাহস করতে হবে, গুনাহ ছাড়তে হবে

নিঃসন্দেহে আমাদের ত্রুটি হচ্ছে ও হক আদায় করে রোযা রাখা ও যথাযথ আমল হচ্ছে না। বান্দার তরফ থেকে যথাযথ চেষ্টা না করাই হল মূল ও বড় ত্রুটি এবং চেষ্টায় অবহেলা করাটাই হল অন্যায় (এটা তো সুস্পষ্ট গুনাহই)। সেজন্য ইস্তেগফার ও তওবা করা উচিত। হাদীসেও সাধারণভাবে আদম সন্তানকে গুনাহগার বলা হয়েছে, উত্তম বলা হয়েছে তাকে যে কিনা তওবা করে। 
 
রমযানে রহমত ও মাগফেরাতের দুয়ার খোলা আছে। আর গীবত করব না, আর চোখের গুনাহ করব না, আর মন্দ কথা বলব না, গালিগালাজ করব না, সুদ ছাড়ব, মিথ্যা ছাড়ব – সব গুনাহ থেকে তওবা করা জরুরী। যে গুনাহ বাহ্যত মনে হচ্ছে এখনি ছাড়তে পারছি না – তা ছাড়ার জন্য এখনি চেষ্টা শুরু করি দিই, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই ও সেটা ছেড়ে দেয়ার তাওফীকও চাই। সাহস করে চেষ্টা করলে এক এক করে সব গুনাহ ছাড়া যায়! আল্লাহর সাহায্য আসে বান্দা সাহস করে পা বাড়ালে, চেষ্টা শুরু করলে।
 
নিজ থেকে কোন প্রকার চেষ্টা না করে গুনাহ করতেই থাকব আর আশা করব – একদিন গুনাহ ছাড়ার তাওফীক পাওয়া যাবে – এমন ভাবাটা চরম বোকামি। বরং এটা হল শয়তানের মস্ত বড় এক ধোঁকা। গুনাহ করতে করতে (অর্থাৎ তওবাবিহীন) আমরা কবরে চলে যাই – সে এটাই চায় (নাউযুবিল্লাহ)।

Last Updated on December 12, 2024 @ 8:38 am by IslamInLife বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *