লাইলাতুল কদরের সন্ধানে
তারাবীহ খতমের সাথে লক্ষ করা উচিত আল্লাহ তাআলার সাথে আমাদের সম্পর্কের কী উন্নতি হল? কুরআন তো আল্লাহ তাআলার সাথে সম্পর্কের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। রমযান এ বিষয়টি স্মরণ করার বিশেষ সময়। সামনে সেই দশ রাত যার কোনটিতে নিহীত আছে লাইলাতুল কদরের মতন রাত। বান্দার জন্য সৌভাগ্য হবে যদি সে আল্লাহর পথে উন্নতির প্রচেষ্টায় সে আরো মনোযোগী হয়। আল্লাহ তাআলার দেয়ার কোনো সীমা নেই। রহমত, ক্ষমা ও ভালোবাসা অর্জনের জন্য আমাদের সামান্য প্রচেষ্টাই যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ। এ বিশেষ সময়গুলোতেও অবহেলা ও গাফলত বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়! তাই সাধ্যানুযায়ী প্রচেষ্টা চালাব আমরা।
সবচেয়ে সৌভাগ্যবান তারা যারা কিনা নিজেকে ইতেকাফ-এর মাধ্যমে পার্থিব কাজকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন করে নেবে। তারপরও সর্বসাধারণেরও উচিত সাধ্যানুযায়ী নিজেকে এ রাতগুলোতে ইবাদতে মগ্ন রাখতে; নামাজ, তেলাওয়াত, দোআ ও যিকিরের মধ্যে নিবিষ্ট রাখতে।
সারা বছরই তো আমরা ঘুমাই। যদি দশটি রাত জেগে থাকি বা দশটির রাতের অর্ধেক হলেও জাগি, কী এমন ক্ষতি? আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দারা তো সারা বছর রাতে উঠে ইবাদত করেন। আমরা দশটি রাতে একটু কষ্ট করলে আল্লাহ তাআলা আমাদেরও এমন সৌভাগ্য দিতে পারেন। আর লাইলাতুল কদরের ইবাদত তো হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। হাদীসে বর্ণিত সেই দোআ-টি আমরা সবাই পড়ব ইনশাআল্লাহ:
اللهم انك عفو تحب العفو فاعف عني
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমা করতে ভালবাসেন। আমাকে ক্ষমা করুন। (আমীন)।
Last Updated on June 24, 2024 @ 4:55 pm by IslamInLife বাংলা