রমযানের প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ
আমরা শাবান মাসে আছি। রমযানুল মুবারক আসছে..
ঈমান ও ইহতিসাব (সাওয়াবের আশায়)-এর সঙ্গে রোযা রাখলে ক্ষমার প্রতিশ্রুতি আছে। (বুখারী ও মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা আমাদের হায়াতে ও সীহহাতে বরকত দিন। হায়াতের প্রতিটি পদক্ষেপে মুমিন উন্নত ঈমান ও আমলের সন্ধানে উৎসাহী, প্রত্যয়ী ও সচেষ্ট হবে। এটিই স্বাভাবিক। ইনশাআল্লাহ প্রত্যেকে আরো বেশি আন্তরিকতার সঙ্গে রোযা রাখব ও নেক আমল করব। আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রচেষ্টাই মুক্তির কারণ হবে ইনশাআল্লাহ!
এবারের রমযান পেলে অনেক বেশি নফল ইবাদত করব — এই চিন্তা ও নিয়ত অনেক ভালো, সন্দেহ নেই। তার চেয়েও ভালো হল পাক-পবিত্র হওয়ার প্রবণতা ও চেষ্টা। গুনাহ থেকে নিজেকে আরও পাক-পবিত্র করার সাধনা বেশি জরুরি। এটিই রমযানের মূল আবেদন, আহ্বান, শিক্ষা ও বিশেষত্ব (দেখুন: সূরা বাকারা ১৮৩)। অনেক বেশি নফল ইবাদত হল কিন্তু আল্লাহ তাআলার নাফরমানি বন্ধ হল না — এর অর্থ হল, মালিককে রাজি-খুশি করার চেষ্টায় আছি কিন্তু তাঁর নারাজির পথে। চিন্তা করুন , এটা কিভাবে সম্ভব?!
তাই এখন থেকে যদি গুনাহ ত্যাগ করে তওবা–ইস্তেগফারের মাধ্যমে রমযানে প্রবেশ করতে পারি, এটি হবে বুদ্ধিমান ও বিবেকবানের পরিচয়। ইনশাআল্লাহ রমযান আমাদের জন্য তাকওয়া অর্জনের মাস হবে, মাসটির খায়ের-বরকত আমাদের ভাগ্যে জুটবে। ফলে আরো বড় নেয়ামত মিলবে ইনশাআল্লাহ। সেটি হল, জীবনকে আল্লাহ পাকের নাফরমানির পথ থেকে তাঁর ফরমাবরদারির পথে চালানো সহজ হবে। এমন একটি রমযানই মুক্তির জন্য যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ!
Last Updated on June 30, 2024 @ 3:10 pm by IslamInLife বাংলা