রমযানুল মুবারক: মুরাকাবা, চেষ্টা ও দোআ
এই সে রমযানুল মুবারক – সারা বছরের মাঝে একটি মাস। যে মাসে মুমিন বিশেষ কত সব নেয়ামতে ধন্য হয়। অন্যান্য বছরের মতন এ রমযানের পূর্বেও কত মানুষ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাদের অনেকে কত সুস্থ ও সবল ছিলেন। না তারা নিজেরা জানতেন, আর না তাদের আত্মীয়-স্বজন-বন্ধুরা জানতেন যে, এ রমযানে তারা থাকবেন না। (আমরা আল্লাহ পাকের কাছে সবার মাগফেরাত চাই। আমাদেরও আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিন। আমীন।)
হায়াত শেষ হয়ে গেলে সে আর কাউকে মানে না (আল্লাহ পাকের হুকুম কখনো চুল পরিমাণ এদিক-সেদিক হবার নয়)। আমাদেরও কিন্তু হায়াত শেষ হয়ে আসছে। হায়াত কিছু বাকি আছে, তাই রমযান পেয়েছি। সামনের বছর হায়াত থাকলে রমযান পাব। আবার যদি সামনের বছর রমযান ভাগ্যে জুটে, সুস্থ থাকব কিনা, কী অবস্থায় থাকব সেটাও কেউ বলতে পারি না।
হে বন্ধুগণ, এভাবে একটু মুরাকাবা (চিন্তা) করি।
জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। তওবার মাধ্যমে সেই কারীম রবের দিকে ফিরি যিনি সবকিছু করার অধিকার রাখেন। অচিরেই তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।
খুব কঠিন নয়। নিয়তকে মজবুত করে নিই যে, আল্লাহর পথেই চলব। তিনি আমার সব ঠিক করার মালিক। তাঁর রহমত, বরকত, ক্ষমা থেকে আমি নিরাশ হব না। তিনি আমাকে দেখছেন। তিনি সদা-সর্বদা আমার সঙ্গে আছেন। তিনি আমাকে যা দেন তাতে আমার মঙ্গল। তিনি আমাকে যা দেন না – তাতেও (অর্থাৎ তা না দেয়াতেও) আমার মঙ্গল।
রমযানুল মুবারকে আমি আল্লাহ পাকের রহমতের অংশীদার হবার সামান্য চেষ্টা করি। ইনশাআল্লাহ জীবনে ইনকিলাব আসবে।
দেখতে দেখতে পবিত্র রমযানের কয়েকটি দিন চলেও গেল। সামনে লাইলাতুল কদর, জীবনে আবার কি রমযান পাব? তাই নিজেকে নেক কাজে নিয়োজিত করি।
আমাদের মতন দুর্বল বান্দাদের জন্য বেশি আয়োজন করার দরকার নেই। রোযা-নামাযের পাশাপাশি অবসর পেলেই তাসবীহ, দরূদ-শরীফ, ইস্তেগফার পড়তে থাকি। আল্লাহ পাকের কাছে দোআ চাইতে থাকি। সব অভাব অভিযোগ তাঁর কাছে পেশ করি। তবে বড় গুনাহ যেন না হয়। গুনাহ এমনিতেই গুনাহ। তার ওপর রমযানে গুনাহ আরও লজ্জাজনক ও বড় ক্ষতি।
হে আল্লাহ! আমরা খুবই দুর্বল, তার উপর আবার অলস ও গাফেল। আমাদের অলসতা-গাফলতি দূর করে দাও। আমাদেরকে লাইলাতুল কদরের ইবাদত জুটিয়ে দাও। রমযানের রহমত- বরকত দিয়ে দাও। ক্ষমা করে দাও। তোমার মাহবুব বান্দা বানিয়ে নাও। আমীন।
Last Updated on February 4, 2023 @ 12:54 pm by IslamInLife বাংলা