ঈমান ও আক্বীদা

মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে সন্দিহান?

মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে সন্দিহান হওয়ার কোনো কারণ নেই।

প্রমাণের জন্য শুধু একটি উজ্জ্বল নিদর্শনই যথেষ্ট। তা হল পবিত্র কুরআন মাজীদ।

নিঃসন্দেহে কুরআন কোনো মানুষের কালাম (কথা) নয়। তাই যদি হয়, এই কুরআন কার কালাম?

মানুষ জীবের সেরা। এটা আল্লাহকে অস্বীকারকারী কাফেরও মানে। এখন দেখার বিষয় হল, কুরআনের কথা কি মানুষের কথার মতন? সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে কুরআনের কথা মানুষের কথার মত নয়। মানুষ এমন কথা বলতে বা বানাতে পারে না। এটা বহু আগে থেকেই অসম্ভব বলে সুপ্রমাণিত। এভাবে কথা বলার চেষ্টা করে মানুষ সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

যখন কেউ কোনো কিছুর বিরুদ্ধে ব্যর্থ হয় তখন তাকে ব্যর্থতা স্বীকার করতে হয়। এ জাতীয় স্বীকারোক্তি না করা হঠকারিতার শামিল। এটা আরো বড় ব্যর্থতা বরং ধৃষ্টতা! অতএব, যে কিতাব অর্থাৎ কুরআন মাজীদ মানব রচনার ঊর্ধ্বে সেটিকে স্বীকার করতেই হবে। কুরআন আল্লাহ পাকের কালাম এবং তাঁর সর্বোচ্চ মর্যাদা ও অকাট্য সত্যতা এভাবে সুপ্রমাণিত হয়ে যায়।

এ কুরআন মাজীদের দাবি হল, এটি রাব্বুল আলামীন, সবকিছুর মালিক ও খালিকের কালাম ও ফরমান। এখন হয় এই কথা স্বীকার করতে হবে অথবা এটি অস্বীকার করে কুরআনকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে(!)

নাযিল হওয়ার পর থেকে স্বয়ং কুরআন চ্যালেঞ্জ করে এসেছে। কেউ তাঁর মুকাবিলা করতে পারেনি। যারা কুরআনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তারা নিজেরাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। চরমভাবে অপমানিত আর লাঞ্ছিত হয়েছে।

পড়ুন সূরা ক্বাফ-এর ৯ থেকে ১১ নম্বর আয়াতসমূহ ও তাঁর তরজমা:

وَنَزَّلْنَا مِنَ السَّمَاء مَاء مُّبَارَكًا فَأَنبَتْنَا بِهِ جَنَّاتٍ وَحَبَّ الْحَصِيدِ

অর্থ: আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তদ্বারা বাগান ও শস্য উদগত করি, যেগুলোর ফসল আহরণ করা হয়।

وَالنَّخْلَ بَاسِقَاتٍ لَّهَا طَلْعٌ نَّضِيدٌ

অর্থ: এবং লম্বমান খর্জুর বৃক্ষ, যাতে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ খর্জুর

رِزْقًا لِّلْعِبَادِ وَأَحْيَيْنَا بِهِ بَلْدَةً مَّيْتًا كَذَلِكَ الْخُرُوجُ

অর্থ: বান্দাদের জীবিকাস্বরূপ এবং বৃষ্টি দ্বারা আমি মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি। এমনিভাবে পুনরুত্থান ঘটবে।

এর পর একই সূরার ১৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:

أَفَعَيِينَا بِالْخَلْقِ الْأَوَّلِ بَلْ هُمْ فِي لَبْسٍ مِّنْ خَلْقٍ جَدِيدٍ

অর্থ: আমি কি প্রথমবার সৃষ্টি করেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি? বরং তারা নতুন সৃষ্টির ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করেছে।

এভাবে আল্লাহ তাআলা যা কিছু বলেছেন, তা খন্ডন করা, লঙ্ঘন করা কারুর সাধ্যে নেই!

অতএব কুরআন আল্লাহ তাআলা – সুমহান রাব্বুল আলামীনের কালাম। একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা তিনি। তাঁর প্রতিটি অঙ্গীকার পূরণ হচ্ছে..কেউ তাতে বিন্দু মাত্র হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অক্ষম। কেউই তাঁর কুদরত ও কারিশমা সামান্যতম টলাতে পারে না। যেটা আল্লাহ তাআলা চান সেটাই হয়। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম। মানুষের সাধ্যে নেই আল্লাহ তাআলার কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার।

আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে একাধিকবার বলেছেন তিনি মৃতকে জীবিত করবেন।

..তা হলে কিভাবে আমরা মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে সন্দিহান থাকব?!

Last Updated on March 21, 2023 @ 11:08 am by IslamInLife বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it