মুসলমানের পারিবারিক জীবন – ২
আমাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব-কলহ-বিবাদ-ঝগড়া — যেটাই বলা হোক তার কার্যকারণ খতিয়ে দেখতে গেলে কয়েকটি বিষয় সামনে আসে:
* সদস্যগণের কেউ বা দ্বন্দ্বে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গ যদি বিনয়ের বিপরীতে অবস্থান নেন
* সদস্যগণের কেউ যদি কোনো কারণে কঠোর মনোভাব ও অবস্থান গ্রহণ করেন – এটাও অহংকার, হিংসা-প্রতিহিংসা বা কোনো ক্ষোভ থেকে উৎপন্ন হয়।
* সদস্যগণ যদি কেউই ‘সবর’-এর (ইসলাম যেভাবে ধৈর্য শিখিয়েছে সেই) পথ অবলম্বন না করেন।
ইসলাম কেবল শান্তির বাণী নিয়ে আসেনি। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলাম আমাদেরকে শিখিয়েছে ইখলাস, সবর এবং এসব গুণের ভিত্তিতে উন্নত আখলাক – সচ্চরিত্র। এগুলো শেখানো হয় এজন্য যেন মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগুলো প্রয়োগ করা হয়। নিজ পরিবারের মাঝে এসব গুণের প্রয়োগ একেবারে প্রাথমিক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের যে যত বড়, তার মধ্যে এগুলো আরও বেশি থাকা জরুরি। কেউ যদি স্বীকার করে নেয় তিনি পরিবারের কর্তা, তাহলে এটা স্বীকার করতেই হবে যে উনার দায়িত্বও বেশি। সেই হিসেবে তার জন্য এটি বেশি জরুরি যে এসব গুণ তার মাধ্যেম আগে প্রকাশ পাবে। সঙ্গে সঙ্গে তিনিই অন্য সবাইকে সুন্দরভাবে এ সুন্দরতম শিক্ষাগুলো দেবেন।
কেউ ছোট হলে তার করণীয় হল, সে বড়দের কাছ থেকে উত্তম শিক্ষা গ্রহণ করে সেই অনুযায়ী চলার সাধ্যমত চেষ্টা করবে। আমরা যদি দোষারোপের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-কলহ-বিবাদ-ঝগড়া সমাধান করতে চাই তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠার বদলে আমরা অশান্তিকে প্রশ্রয় দিলাম। অশান্তি প্রতিষ্ঠিত হতেও বেশি সময় লাগবে না, এবং আল্লাহ না করুন, ইসলামের শিক্ষা প্রয়োগের বদলে বিপরীত শিক্ষা অথবা শয়তানের প্ররোচণা – যেটাই বলুন – সেটাই প্রয়োগ করলাম। ইসলামের উদ্দেশ্য হল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। আর আমাদের পরস্পর দোষারোপের মাধ্যমে পরিবারের মাঝে শুরু হল কলহ-দ্বন্দ্ব-অশান্তি। এটা কি ন্যায়সঙ্গত কাজ হল নাকি অন্যায়? ইনশাআল্লাহ চলবে
Last Updated on February 28, 2023 @ 12:23 pm by IslamInLife বাংলা