ফেতনা: তার রূপ ও সে সময় করণীয়: ৬
আবু দাউদের বর্ণনায়, সাইয়্যেদুনা মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি (অর্থ): নি:সন্দেহে ঐ বান্দা ভাগ্যবান, যাকে ফেতনা থেকে নিরাপদে রাখা হয়েছে, নি:সন্দেহে ঐ বান্দা ভাগ্যবান, যাকে ফেতনা থেকে নিরাপদে রাখা হয়েছে, নি:সন্দেহে ঐ বান্দা ভাগ্যবান, যাকে ফেতনা থেকে নিরাপদে রাখা হয়েছে। আর যাকে ফেতনায় আক্রান্ত করা হয়েছে এবং সে ধৈর্য ও দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছে, (তার কথা কী বলব?) তার জন্য রয়েছে ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ।
কথার গুরুত্ব শ্রোতাদের মন-মস্তিষ্কে গেঁথে দেয়ার উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ ﷺ দুবার বা তিনবার একটি বিষয় উল্লেখ করতেন। এ হাদীসে তিনবার নি:সন্দেহে ঐ বান্দা ভাগ্যবান, যাকে ফেতনা থেকে নিরাপদে রাখা হয়েছে’ – এ কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা যে কত বড় নেয়ামত ইঙ্গিত যেন সেদিকেই। আবার যে কিনা তকদীরের অবশ্যম্ভাবী ফলাফলে ফেতনায় আপতিত হয়েও সবর করল, তার জন্য পৃথক মোবারকবাদ জানানো হয়েছে।
ফেতনা বিষয়ে প্রত্যেক হাদীসের কিতাবে আলাদা অধ্যায় পাওয়া যায়। বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। এ সময়ে সত্য-মিথ্যা, হক না-হক সহজে পৃথক করা যাবে হবে না। বাস্তবিকই আল্লাহর আশ্রয় বড় ভাগ্যের বিষয় হবে।
Last Updated on February 4, 2023 @ 9:48 am by IslamInLife বাংলা