প্রস্তুতি নিয়ে নেক আমল-১
যত প্রকারের ধোঁকায় আমরা আজ রয়েছি, তার মধ্যে অন্যতম হল “ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে নেক আমল শুরু করব”।
এটা অবশ্যই সঠিক এবং অনেক উত্তম যে, নেক আমলের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে – তা যত্ন সহকারে শুরু করা হবে। কিন্তু শয়তান আর আমাদের নফস এই চিন্তার মাঝে বড় ধোঁকায় ফেলে দেয় আমাদের। আমরা প্রস্তুতির নিয়তে টাল বাহানা শুরু করি, কালক্ষেপণ করি, বিলম্ব করি। এই করছি, করব, এইতো এখনি….- ইত্যাদি বিভিন্ন টাল বাহানায় ৯৯ ভাগ কাজই করা হয় না। বলুন দুনিয়ার কোন কাজটিতে এত পরিকল্পনা, এত চিন্তা ভাবনা আর নিয়ত তথা প্রবল ইচ্ছাশক্তির এত নবায়ন করা হয়?! বরং যেই দুনিয়ার যেই কাজেই সামান্যতম লাভ দেখি, একটুও বিলম্ব করি না। এর ফলে বরং দুনিয়ার অনেক কাজে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই – অনেক সময়ই। কারণ, আসলে আরেকটু চিন্তা করে, পরামর্শ করে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন ছিল। পরিণতির কথা আরেকটু ভাবা উচিত ছিল। কিন্তু ইবাদত, নেক আমল – ইত্যাদি কাজে আমরা খুবই পিছ-পা, খুবই শ্লথ গতি সম্পন্ন।
“হ্যাঁ, কাজটা করা দরকার, ইশ হচ্ছে না, আঁহা কতই না ভালো হয় যদি করা হয়, কত কিছু করা দরকার, হায় হচ্ছে না, হ্যাঁ শুরু করতেই হবে” — এই সব আস্ফালন আখেরাতমুখী কাজে কিছু বা খুব হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কি আসলেই হচ্ছে? আমরা যদি প্রকৃতই আফসোস আর বিবেচনার আলোকে এরকম উক্তি করি, ইনশাআল্লাহ – এগুলোও ব্যর্থ নয়। কারণ, এমন আফসোস গুলোও আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক মূল্য রাখে। এই আফসোসই বা কজনের কপালে জুটে(!) কিন্তু কথা হল আমরা নিজের হিম্মত তথা সাহসকে যে অনুপাতে দুনিয়ার কাজে লাগাই বা লাগাচ্ছি, সে অনুপাতে না হোক, তার অর্ধেকটাও কি আখেরাতের জন্য লাগাচ্ছি?! আফসোসের সাথে সাথে কাজ কি কিছু শুরু করেছি?
হযরতজ্বী ইনামুল হাসান সাহেব رحمة الله عليه -কে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিল, “হযরত আমার দৈনন্দিন তিন তাসবীহ আদায় হয় না(?)” হযরতের তাৎক্ষণিক জবাব ছিল, “তিন বেলা খানা তো আদায় হয়?”
ইনশাআল্লাহ চলবে……
Last Updated on June 16, 2022 @ 10:10 am by IslamInLife বাংলা