আবুদ্দারদা রাযিআল্লাহু আনহু (মৃ. ৩২ হিজরী : ৬৫৩ খৃস্টাব্দ)

আরোহী পথিকের পাথেয়ের ন্যায় সামান্য সম্পদের যিনি মালিক। নিজেকে তিলে তিলে গড়েছেন। নিকষিত করেছেন বহু সাধনায়। কষ্টকর বিপদাপদ যাঁকে করেছে আরও পাকাপোক্ত। হাতের তালুতে দান-দক্ষিণার কোমলতা। দু’হাতের আঙ্গুল বেয়ে উপচে পড়ে বদান্যতা। রবের প্রতি বিনয় বশত যিনি দারিদ্র্যকে ভালোবেসেছিলেন। তাকওয়ার কীলক দিয়ে যিনি বন্ধ করেছিলেন খায়েশ ও প্রবৃত্তির দোআর। যাঁর কথায় শ্রোতৃম-লীর চোখগুলো অশ্রুসিক্ত হতো। তিনি ছিলেন হেকমত ও প্রজ্ঞার আলো ও জ্যোতি। ঈমান ও বিশ্বাসের আবীর। সৌরভ বিমোহিত ব্যক্তি। প্রধান ক্বারী। তিনি উমাইমির ইবনে মালিক আল্আনসারী আল্খাযরাজী। প্রজ্ঞাবান অশ্বারোহীদের একজন। বদর অভিযানের সময় মুসলমান হয়েছিলেন। বীরত্ব আর সাধনা খ্যাত ব্যক্তি। যিনি মদীনা শরীফে ব্যবসা করতেন। চেয়েছিলেন ইবাদত ও বাণিজ্য একসাথে চালিয়ে যেতে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। তাই তিনি ইবাদত ও ধর্মকর্ম নিয়ে ছিলেন। ছেড়ে দিয়েছিলেন ব্যবসা-বাণিজ্য।

মহানবী ﷺ-এর সময় যাঁরা পবিত্র কুরআন সংকলন কাজে নিয়োজিত তিনি তাঁদেরই একজন। হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. নির্দেশে হযরত মুয়াবিয়া রা. তাঁকে দামেস্কের বিচারক পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। মুসলমান হওয়ার পূর্বেই তাঁর মাঝে বয়সের চেয়ে বেশি প্রজ্ঞা ও হেকমত ছিল। দুনিয়া ও জগত সংসার যাঁর হাতে ধর্না দিতো। তিনি দুনিয়ার অসারতা দেখানোর উদ্দেশ্যে বলতেন, কসম! আল্লাহ তাআলা কাছে দুনিয়ার মূল্য যদি মাছির ডানার সমতুল্যও হতো তিনি ফেরআউনকে এক ঢোঁক পানিও পান করাতেন না। তাঁর কথাগুলো হৃদয়কে গুণাহের ময়লা থেকে প্রক্ষালন করতো, পাকসাফ করে ফেলতো।

দুনিয়া তাঁর কাছে সেজেগোছে এসেছিল; কিন্তু তিনি দু’চোখ বুজে হয়েছেন যাহেদ, দুনিয়া বিমুখ, ইবাদতগুজার ও মুত্তাকী। দু’ঠোঁট বেয়ে ঝরতো শুধু হেকমত ও প্রজ্ঞা। দুনিয়া চষে বেরিয়েছেন ওয়াজ-উপদেশের ঝুলি নিয়ে। মানুষকে বিলিয়েছেন হেকমত ও প্রজ্ঞা। অর্পিত বার্তা নিয়ে দাওয়াতের মিশনে ছিল সারাজীবন। যেখানেই দেখতে পেয়েছেন লোক সমাগম সেদিকেই দৌড়িয়েছেন। হাস্যোজ্জ্বল বদনে শ্রুতিমধুর কণ্ঠে শুনিয়েছেন মুক্তির কথা। ইবাদত করো। যেন তুমি তাঁকে (মাবুদকে) দেখছো। নিজেকে মৃত ভাবো। মজলুম মানুষের আর্তনাদ থেকে নিজেকে দূরে রাখো। জেনো রাখো, যে প্রাচুর্য মজিয়ে রাখে তার চেয়ে যথেষ্ট পরিমাণ কম তোমার জন্য ভালো। নেক ও কল্যাণ কখনও জীর্ণ হয় না। গুণাহ ও পাপ কখনও বিলুপ্ত হয় না।
ধনসম্পদ পুঞ্জিভূত করার ভয়াবহ পরিণামের কথা এভাবে বলতেন, ‘ধনীরা খাবার গ্রহণ করে। আমরাও খাবার গ্রহণ করি। তারা পানীয় পান করে আমরাও পান করি। তারা যেমন কাপড়চোপড় পরিধান করে আমরাও জামাকাপড় পরিধান করি। তাদের ন্যায় আমরাও বাহনে আরোহণ করি। তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থকড়ি তাদের চোখের সামনে। তাদের সাথে আমরাও সেই ধনৈশ্বর্য দেখে দেখে চোখ জুড়াচ্ছি। কিন্তু পরিণতিতে তাদেরকে সেগুলোর হিসাব কড়াগণ্ডায় আদায় করতে হবে। যা থেকে আমরা সম্পূর্ণ মুক্ত।’

দুনিয়ার জীবনে বেঁচে থাকার সন্তুষ্টি ও স্বার্থকতার দর্শন তিনি এভাবে বোঝাতেন, তিনটি কারণে দুনিয়ায় থাকার স্বার্থক। রোদেলা দুপুরের ছাতিফাটা তৃষ্ণা, নিশীত রাতে মাওলার দরবারে সিজাদা এবং লোকজন নিয়ে দ্বীনি জলসা। যারা সুস্বাদু ফলমূলের ন্যায় ভালো ভালো কথাগুলো চয়ন করে নেয়।

তিনি তাঁর ব্যক্তিত্বকে অন্যদের চেয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে চিত্রিত করেছেন। সোনার ন্যায় যা ত্যাগের মহিমায় আরও নিকষিত। তিনি বলতেন, তিনটি জিনিস আমি পছন্দ করি, যেগুলো মানুষ ঘৃণা করে। দারিদ্র্য, রোগ-ব্যাধি ও মৃত্যু। আমার প্রতিপালকের সামনে নিজের বিনয় প্রকাশ করার জন্য আমি দারিদ্র্যকে পছন্দ করি। মাওলার প্রতি মনের অনুরাগ আর আকুলতার কারণে মৃত্যু আমার প্রিয়। গুণাহ ও পাপরাশি মোচনের জন্য রোগ-বালাই আরেক পছন্দের।

একদিন তিনি বসে মানুষের রকমারি অবস্থা ও হালত নিয়ে ভাবছেন। তারা কিভাবে দুনিয়ার প্রতি হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তা নিয়ে কল্পনা করছেন। পরক্ষণে মাথা নেড়ে উঠলেন। কল্পনার গায়ে লেগে যাওয়া দুনিয়ার আবহ ঝেড়ে ফেললেন। ইস্তেগফার পড়লেন। হৃদয়ের স্খলন থেকে আশ্রয় চাই। সঙ্গী-সাথীরা তাঁকে বলল, হে আবুদ্দারদা, হৃদয়ের স্খলন কী? তিনি দুঃখ করে বললেন, সব উপত্যকায় সম্পদ থাকা। সকল প্রকার সম্পদের মালিক হওয়ার উদগ্র বাসনা পোষণ করা।

তিনি নিজের গুণাহ ও পাপের ব্যাপারে খুব ভীত ছিলেন। বেশি বেশি কাঁদতেন। চোখের পানি ফেলতে ফেলতে তাতে রোগ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর বুযূর্গি ও খোদার নৈকট্য সম্পর্কে কাছের লোকেরা জানতো। সেজন্য তারা তাঁকে বলল, আপনি যদি আল্লাহ তাআলা কাছে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার দোআ করেন আল্লাহ তাআলা আপনাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিবেন। তিনি ধৈর্যের উচ্ছ্বাস নিয়ে বললেন, আমি তো এখনও নিজের গুণাহগুলো মাফ করিয়ে নিতে পারিনি। এরই মধ্যে কীভাবে চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার দোআ করি?

গোটা জীবনটা কাটিয়েছেন আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্টির পথে। মনে ছিল তাঁর ধ্যান, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা। রাত জেগে অধিক ইবাদত-বন্দেগী করার চেয়ে আল্লাহ তাআলা নেয়ামতরাজি নিয়ে ভাবনাকে বেশি উত্তম মনে করতেন। তিনি বলতেন, এক মুহূর্ত কুদরতি জিনিস নিয়ে ভাবা এক রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করা অপেক্ষা শ্রেয়। তাই তিনি আল্লাহ তাআলা ইবাদত করেছেন নেয়ামতরাজি নিয়ে ভেবে এবং সৃষ্টির রহস্য নিয়ে কল্পনা করে। আবুদ্দরদা রা.-এর আম্মাকে জিজ্ঞাসা করা হল, আবুদ্দরদা রা.-এর শ্রেষ্ঠ আমল কোনটি ছিল? তিনি বললেন, চিন্তাভাবনা আর সৃষ্টি রহস্য থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।

তিনি ইলম ও আমল পছন্দ করতেন। জ্ঞান ও জ্ঞানের আবেদন তাঁর অধিক প্রিয় ছিল। সাহাবা কেরাম বলতেন, ইলম ও আমলের ক্ষেত্রে আমাদের মাঝে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন আবুদ্দরদা। তিনি তাঁদের মধ্যে অধিক জ্ঞানের অধিকারী এবং আমলকারী। আবুদ্দরদা রা. বলেছেন, তোমরা জ্ঞান অর্জন করো। না পারলে জ্ঞানী লোকদেরকে ভালোবাসো। তাঁদের সাথে ভালোবাসা না থাকলে (অন্তত) তাঁদের সাথে দুশমনি রেখো না।

তিনি বলেছেন, যে জানে না তার জন্য দুর্ভোগ একবার। আর যে জেনেও আমল করলো না তার জন্য দুর্ভোগ সাতবার। ঈমানের স্বচ্ছতা ছিল তাঁর হৃদয়জুড়ে। আন্তরিকতা আর নিষ্ঠা ছিল বিশ্বাসের আদ্যন্ত। তিনি দুনিয়াকে মনে করতেন আখেরাতের মাধ্যম। ইয়াযীদ বিন মুয়াবিয়া বলেছেন, যে সব উলামা কেরাম নিজেদের ইখলাস-আন্তরিকতা বলে নিজেদের রোগব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ করতেন আবুদ্দরদা ছিলেন তাঁদেরই একজন।

তাঁর যুহদ ও খোদাভীতির নমুনা এমন ছিল যে, তিনি যখন দু’জনের মাঝে বিচার করে রায় দিতেন এবং তারা যখন চলে যেতে লাগতো তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বলতেন, এদেরকে ডাকো। তারা ফিরে এলে বলতেন, তোমাদের মামলার সুরতহালটা আবার বলো। তারা তাদের সমস্যাটা পুনরায় বলার পর তিনি নতুন করে তাদের বিচার করতেন।

সব সময় যিকির করতেন। তাসবীহ পাঠে নিয়োজিত থাকতেন। তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় মৌমাছির ন্যায় একটা গুনগুন শব্দ শোনা যেতো। একবার তাঁর কাছে এক লোক এসে জিজ্ঞাসা করলো, আবুদ্দরদা, প্রত্যহ কয়বার তাসবীহ পাঠ করো? তিনি বললেন, এক লাখ বার। তবে আঙ্গুলের গননা ভুলও হতে পারে। একথা বলে আবার তাসবীহ পাঠ করতে লাগলেন। আবার শুরু হল আগের গুঞ্জন।

আবুদ্দরদা রা. দামেস্কে আসলেন। দেখলেন, লোকজন সুউচ্চ বাড়ি-ঘর ও ইমারত নিয়ে ব্যস্ত। তারা পাল্লা দিয়ে তৈরি করছে প্রাসাদ। তাদের মাঝে সম্পদ সঞ্চয়ের হিড়িক পড়ে গেছে। তিনি রাস্তায় নেমে চিৎকার দিয়ে বললেন, ওহে দামেস্কের অধিবাসী! তোমরা তোমাদের একজন শুভানুধ্যায়ী ভাইয়ের কথা মনোযোগ দিয়ে শোন। লোকজন জড়ো হল। তিনি বলতে লাগলেন, যে বাড়িঘরে তোমরা (অনন্তকাল) বসবাস করবে না সেগুলো কেন বানাও? যে পুঞ্জিভূত সম্পদ তোমরা ভোগ করবে না সেগুলো কেন পুঞ্জিভূত করো? যা তোমাদের মেধা ও বোধগম্য নয় তা নিয়ে কেন ভাবো? নাগালের বাইরের জিনিস নিয়ে কেন আশাবাদী হয়ে আছো? তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও বিশাল সুদৃঢ় ইমারত বানিয়েছিলেন। তারাও আকাশকুসুম কল্পনা করেছিল, তাদের কল্পনার ফানুস ছিল আকাশচুম্বী। তারাও রাশি রাশি সম্পদ পুঞ্জিভূত করছিল। পরিণতিতে তাদের আশায় গুড়েবালি। বাসনা প্রতারণায় পর্যবসিত হয়েছে। তাদের আসর আর মজলিসগুলো ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। আজ তাদের বাড়িঘরগুলো কবর আর সমাধি। গোরস্তান হয়েছে সেসব ঘরদোআর।

আমীরুল মুমিনীন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. সিরিয়া সফরে গেলেন। প্রজাকুলের খোঁজখবর নিতে লাগলেন। নিজের সঙ্গী-সাথী অবস্থা জানতে লাগলেন। রাতের বেলায় হযরত আবুদ্দারদা রা.এর বাড়ির প্রধান গেটে এসে সালাম দিলেন। আবুদ্দারদা রা. সালামের উত্তর দিলেন। উমর রা. বললেন, প্রবেশ করতে পারি? আবুদ্দরদা রা. বুঝতে পারলেন না আগন্তুক কে। তিনি বললেন, প্রবেশ করুন। উমর রা. দরজায় আঘাত করলেন। হঠাৎ দরজা খুলে গেল। দরজায় কোন খিল ছিল না। চেয়ে দেখেন, বাড়িটি একদম অন্ধকার। সেখানে কোন চেরাগের ব্যবস্থা নেই। তিনি মাটি হাতড়িয়ে আবুদ্দরদা রা. এর ঘর পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেন। বসে দেখেন, আবুদ্দরদা রা. যে বালিশে ঘুমান সেটি মূলত উটের গদি। যেখানে ঘুমান তা মূলত মাটি। যা গায়ে দেন সেটি পাতলা একটি চাদর। আবুদ্দরদা রা. বললেন, কে আমীরুল মুমিনীন? উমর রা. বললেন, হাঁ। এরপর বললেন, আল্লাহ তাআলা আপনার উপর রহম করুন। আমি কি আপনাকে সচ্ছল হওয়ার মতো ভাতা প্রদান করিনি? আবুদ্দরদা রা. সাধকের দৃঢ়তা নিয়ে বললেন, হে উমর! রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাদেরকে যে হাদীস শুনিয়েছেন তা কি আপনার মনে আছে? উমর রা. বললেন, কোন্ হাদীস? আবুদ্দরদা রা. বললেন, তিনি কি বলেননি (অনুবাদ) তোমাদের দুনিয়ার সম্বল বলতে আরোহীর পাথেয় মতো হওয়া চাই? উমর রা. বললেন, হাঁ। মনে আছে। তখন আবুদ্দরদা রা. এর গণ্ডদেশ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। তিনি বললেন, উমর, নবীজী ﷺ চলে যাওয়ার পর আমরা কী করেছি? এরপর উভয়জন ভোরবেলা পর্যন্ত সারা রাত ধরে কাঁদলেন।

হযরত আবুদ্দরদা রা. বিছানায় ঘুমালেন। এমন সময় হুদাইদ আসসালমী তাঁকে দেখতে আসল। দেখলেন, তাঁর গায়ে পশমের জুব্বা। তিনি ঘর্মাক্ত। বিছানায় ঘুমন্ত। হুদাইদ বলল, আবুদ্দারদা! হযরত মুয়াবিয়া রা. আপনাকে যে কাপড় দিয়েছেন আপনি সেটি কেন গায়ে দেন না? আপনি কি এর চেয়ে কোমল শয্যা গ্রহণ করতে পারেন না? আবুদ্দরদা রা. ক্ষীণ স্বরে বললেন, তখন তাঁর চেহারায় ফ্যাকাশে হাসির ঝিলিকও রয়েছে, আমাদের একটি বাড়ি আছে যার জন্য আমরা কাজ করছি। সেখানে আমরা প্রস্থান করে চলে যাবো। যে যাত্রায় ভারী বোঝার চেয়ে হালকা বোঝা সুবিধাজনক।
হযরত আবুদ্দারদা রা. এর মৃত্যু ঘনিয়ে আসলে তিনি কাঁদতে লাগলেন। তখন তাঁর সহধর্মিণী তাঁকে বললেন, আপনি আল্লাহ রাসূল হয়েও কাঁদেন? তিনি বললেন, হাঁ। আমি না কেঁদে পারি কীভাবে? অতীতের কৃতগুণাহ কী হবে তাও তো জানি না। এরপর আরও কাঁদতে লাগলেন। বললেন, যখন আল্লাহ তাআলা সাথে দেখা হবে তখন সবচেয়ে বেশি আমার আশঙ্কার বিষয় হল, তিনি আমাকে বলবেন, ইলম তো ছিল আমল কী করছো? জ্ঞান অনুসারে কী কর্ম তোমার? তিনি নিজের স্ত্রী ও ছেলের দিকে তাকিয়ে হিতাকাঙ্ক্ষী হয়ে বললেন, প্রিয়তমা, আজ আমার এই পরিণতির জন্য আমল করো। বৎস, আজ মৃত্যুই আমার পরিণতি। সেই পরিণতির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করো।

মৃত্যুকালে বারবার তিনি শাহাদাতের তামান্না করতে লাগলেন। এক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরক্ষণে সম্বিত ফিরে পান। এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। হিজরী ৩২ সালে সিরিয়ায় তিনি পরলোকে গমন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। রাযিআল্লাহু আনহু ওআরযাহু। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং তিনি তাঁকেও সন্তুষ্ট করুন।

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it