নামাযে মনোযোগিতা: প্রাথমিক করণীয় কাজ
মানুষ যে কাজের সাধনা করে, আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে সে কাজ বা বিষয় তার জন্য সহজ করে দেয়া হয়। আমরা যদি নিয়মিত আমাদের নামাযে যত্নবান হই তাহলে ধীরে ধীরে নামাযে একাগ্রতা বা ধ্যান চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।
আজকাল আমরা দ্বীন-দুনিয়ার সবকিছু খুব সহজে অর্জন করতে চাই। সুইচ টিপলে আর কল ঘুরালে যেমন কাজ শুরু হয়ে যায়, জীবনে সবকিছু পাওয়ার জন্য এই ফর্মূলা দাবি করে থাকি।
নামাযে ধ্যান বসে না, এ নালিশ অনেকেরই। সুন্দর করে ওযু করে মসজিদে পাঁচ-দশ মিনিট আগে গিয়ে দোআ-যিকির পড়ে নামাযে দাঁড়ালেও দেখবেন কত মন বসে। কিন্তু শুরুটাই যদি হয় তাড়াহুড়া আর সুন্নত থেকে খালি, বাকিটা আর কতটুকু আশা করা যায়?! নামাযের প্রস্তুতি বলে যে একটা বিষয় আছে, সেটা যেন আজ আমরা ভুলেই বসেছি।
তারপর যখন নামায শুরু হয়েই গেল তখন দেখা যায়, বারো আনা ধ্যান খেয়াল দুনিয়ারই। কারণ, আমি তো নামাযে হঠাৎ দাঁড়িয়েছি! আমার চিন্তার রেলগাড়ি দুনিয়ার স্টেশনেই ছুটছিল, ছুটছে। এমন কখনো কখনো হওয়াটা দোষনীয় নয়। কিন্তু সব সময়ই জাগতিক কাজ মাথায় রেখে নামায পড়তে থাকলে নামাযকে সুন্দর করে পড়াটা মুশকিল।
জাগতিক কাজ করছি, আযান দিল। ব্যাস – এখনই তো অন্তর আল্লাহর দিকে ঘুরে যাওয়া উচিত। পাঁচ মিনিটে হাতের কাজ গুছিয়ে ওযু করে ফারেগ হয়ে যাই না নামাযের জন্য। এতটুকু অভ্যাস করতে থাকলে দেখবেন গুরুত্ব নামাযকেই দেয়া হবে, ইনশাআল্লাহ মন আপনা-আপনিই বসবে নামাযে। আর এতটুকু চেষ্টাকেও অবহেলা করতে থাকলে মৃত্যু চলে আসবে, আল্লাহ মাফ করুন, আমাদের সংশোধন হবে না।
নিজের এখতিয়ারে যার যতটুকু আছে ততটুকু চেষ্টা করাই তো আমাদের দায়িত্ব। তারপরই তো আল্লাহ পাকের সাহায্যের ওয়াদা।
Last Updated on June 30, 2024 @ 3:54 pm by IslamInLife বাংলা