জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ৭
মুজাহাদা (ভারসাম্যপূর্ণ কষ্ট-ক্লেশের) জীবন অবলম্বন করতে হবে। মুমিন পার্থিব জীবনকে আখেরাতের শস্যক্ষেত্র বলেই বিশ্বাস করে ও সে অনুযায়ী এখানে কষ্ট-ক্লেশ করে যায়।
আমাদের বৃহত্তর সময় খাওয়া-পরায় অতিবাহিত হয় এজন্যই যে, আমরা এগুলোতে অধিক লাভ অনুভব করে থাকি। জাগতিক কাজে প্রয়োজন পরিমাণ মনোযোগ ঠিক আছে, বরং তা জরুরি। কিন্তু যখন শরীরকে ইবাদতের জন্য তৈরি উদ্দেশ্য না হয়ে আমোদ-ফূর্তিতে লেলিয়ে দেয়া হয় সেটা ক্ষতিকর। আল্লাহ না করুন, এক পর্যায় এমন অভ্যাসের দরুন ইবাদতে আলসেমি আসে। একই শরীর জাগতিক কাজের ব্যাগার খাটতে প্রস্তুত কিন্তু দুই রাকআত নামায পড়তে তৈরি নয়।
অধিক আরাম-আয়েস (যা কিনা অপ্রয়োজনীয়) থেকে বিরত থাকতে হবে। বিলাসিতা থেকে দূরে থাকতে হবে। বিলাসী জীবন নেক কাজ ও ইবাদতে তো বটেই, জাগতিক জরুরি কাজও ব্যাহত করে, অলসতা সৃষ্টি করে এবং দায়িত্বহীনতার দোআর খুলে দেয়।
একটি সহজ পরীক্ষা। যখন মুমিন আখেরাতের পরিণতি সামনে রাখে একটি ঘন্টা কাজ করে তখন দেখবেন তার সেই ঘন্টাটি কিভাবে অতিবাহিত হয়। আর যখন সে আখেরাতের পরিণতি সামনে না রেখে একটি ঘন্টা কাজ করে তখন দেখবেন তার সেই ঘন্টাটি কিভাবে অতিবাহিত হয়।
Last Updated on November 21, 2023 @ 7:58 am by IslamInLife বাংলা