জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ২
সঙ্গী নির্বাচনে খুব সাবধান হতে হবে। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করব ও সবার প্রতি উত্তম ধারণা রাখব, কিন্তু আন্তরিক সম্পর্ক সবার সাথে নয়।
উত্তম সঙ্গী উত্তমরূপে সময় ব্যয়ে আমাদের সহযোগী। বদকার সঙ্গী আমাদের সময়কে বরবাদকারী এবং সমূহ ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে।
সঙ্গী নির্বাচনে ভুল করে মানুষ সারাজীবন পচতায়। কারণ জীবনের উদ্দেশ্য ও সার্বিক পরিণতি পর্যন্ত সঙ্গীর দ্বারা প্রভাবিত হয়।
সঙ্গী নির্বাচনের বিষয়টি হালকা করে নেয়ার মত নয়। আলেমগণ প্রিয় নবীজি ﷺ-এর এক একজন পবিত্র সঙ্গীকে ‘সাহাবি’ (যার অর্থ: সঙ্গী) নামকরণে নিগূঢ় হেকমত বর্ণনা করেছেন। নবীজি ﷺ-এর সঙ্গ পেয়েছেন বলেই সেই পূণাত্মা’র এক একজন তার সঙ্গী অর্থাৎ সাহাবী। আসলে উত্তম সঙ্গীর এমন নমুনা জগত না কোনোদিন দেখেছে, না কখনো দেখবে। আর কার সঙ্গ অবলম্বনে সেটা সম্ভব হয়েছে? সেটাতো অতুলনীয়। সৎ ও মহৎ সঙ্গের মাধ্যমেই প্রথম যুগ থেকে দ্বীন সুরক্ষিত হয়েছে ও হচ্ছে এবং এই নিয়মই কেয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে, যা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হেকমত।
আমাদের প্রতি কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট নির্দেশ হল প্রিয় নবীজি ﷺ, তার পূণাত্মা আসহাব এবং তাদের সুমহান আদর্শ বহনকারীদের অনুকরণ ও অনুসরণের। তাদের অনুকরণ ও অনুসরণের ফল এই হবে যে, পার্থিব ও পরকালীন উভয় হায়াত কল্যাণময় ও সফল হয়ে যাবে।
প্রয়োজন তো ছিল জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সৎ ও নেক সঙ্গীর সাহচর্য। অথচ আজ আমরা ইবাদতের (যেমন: হজ্ব পালন অর্থ কোনো দ্বীনি সফরে) ও দ্বীনি জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে পর্যন্ত উত্তম সঙ্গী নির্বাচনে অসাবধান। ফলে আমাদের জীবনের বড় ক্ষতির জন্য নিজকে ছাড়া আর কাকে দায়ী করব?! প্রতিদিন পত্র-পত্রিকায় অসংখ্য বিপদাপদের খবর যেন এ কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, এগুলো অমুক-অমুকের উপর নেমে আসার মূলে ছিল খারাপ সঙ্গী গ্রহণ ও জীবনের অমূল্য সময়ের অবমূল্যায়ন। এমন কর্মকান্ড থেকে নিজকে বাঁচানো সবার দায়িত্ব। আসুন সতর্ক হই, তওবা করি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। আমীন।
—————————————————————–
*যাদের প্রতি শরিয়ত সুস্পষ্ট হক বেঁধে নির্দেশনা দিয়েছে সেটাতো আদায় করতেই হবে।
Last Updated on November 21, 2023 @ 7:57 am by IslamInLife বাংলা