ঈমান ও আক্বীদাউপলক্ষ ও সংস্কৃতিরমযান/রোযা

আসুন রমযান ও ঈদের মূল উপলব্ধিকে তাজা করি

ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ আনন্দের আর খুশির জন্যই। কিন্তু এর অর্থ কি এটা রমযান শেষ হয়েছে বলে আনন্দ?! কখনই তা নয়। বরং রমযানুল মুবারকের মাধ্যমে মাগফেরাত (ক্ষমা) ও কবুলিয়াতের (আল্লাহ পাকের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিরাট আশা করে) এ আনন্দ।

তাহলে প্রকৃত ঈদ কার? যে কিনা রমযানুল মুবারককে মূল্যায়ন করল। যে কিনা রমযানুল মুবারককে মুল্যায়ন করল না, ঈদ কি করে তার?! যে এ মুবারক মাস পেয়ে নেক কাজে অবহেলা করল সে কি এর মাধ্যমে ক্ষমা আশা করতে পারে? (তারপরও যদি কেউ খাঁটি তওবা করে ফেলে সেটা তো ভিন্ন কথা)

আমাদের মধ্যে রোযা, তারাবীহ, সেহরী, ইফতার, ইতেকাফ ও ঈদের বাস্তব উপলব্ধি নিয়ে আসতে হবে। সেটা আনার জন্য প্রয়োজন আন্তরিক তলব বা তৃষ্ণা। আজ উম্মতের মাঝে এগুলোর বাস্তব উপলব্ধির কি নিদারুণ অভাব! আর উম্মত বলতে সর্বপ্রথম কিন্তু আমি নিজেই। নিজের ভেতর এ অভাব সবচেয়ে বেশি।

আমার নামায, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও মৃত্যু সমগ্র জগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর জন্যই – কথাটি পড়া হয়েছে, জানা হয়েছে, বলা হয়েছে। কিন্তু আফসোস!  উপলব্ধির মতন উপলব্ধি করা হয়নি।

আমি মুসলমান। কিন্তু আমি জানি না নামায কী।

আমি মুসলমান। কিন্তু আমি জানি না রোযা কী।

আমি মুসলমান। কিন্তু আমি জানি না যাকাত কী।

আমি মুসলমান। কিন্তু আমি জানি না হজ্ব কী

সর্বোপরি,

আমি মুসলমান হয়েও যেন জানি না – ঈমান কী!

এগুলোর মহত্ত্ব ও গুরুত্ব আজ আমিই বুঝি না!

…এ আফসোস কাকে বলব?

আসুন, তওবার মাধ্যমে আল্লাহকেই বলি!

রমযানুল মুবারক ও ঈদ যদি আমাদের এতটুকু উপলব্ধি তৈরি করে, অনেক কিছু। এই এখন রোযার শেষ সময়টিতে আমরা এ আবেদনটি আল্লাহর কাছে করি যে, আল্লাহ পাক হাশরের দিন যেমন বান্দা দেখতে চান, তাঁর হাবীব যেমন উম্মত দেখতে চান, আল্লাহ আমাকে তেমনই বানিয়ে দাও। আমীন।

আজ কে আছে যার কোনো কষ্ট-বিপদাপদ নেই? মুমিন তো দৃঢ়ভাবে এটা বিশ্বাস করেই যে, আমার বিপদ আমার হাতেরই অর্জন। আমি গুনাহ করে এসব বিপদগুলো ডেকে এনেছি। এখন তাহলে সমাধানের একটিই পথ। আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা।

তওবার মাধ্যমে যেহেতু বান্দা আল্লাহ তাআলার প্রিয় হয়ে যায় তাই সে বান্দার জন্য ঈদ খুশিরই কারণ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ!

Last Updated on February 14, 2023 @ 12:24 pm by IslamInLife বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *