প্রতিটি কাজে সময়ের হেফাজত
সময়ের হেফাজত সহজ। যদি সেটা আমরা বুঝি। ‘সেটা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? – এটা আগে বোঝা দরকার। দুটি বিষয় প্রধান। প্রথমত: সময়ের গুরুত্ব। দ্বিতীয়ত: কিভাবে সময়ের কদর, অর্থাৎ তার সুষ্ঠু ব্যবহার করব, তা জানা।
অল্প কথায় বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সময়ের গুরুত্ব নিয়ে এখানে আলোচনা উদ্দেশ্য নয়। কিভাবে সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহার করা যায়, তার একদমই মৌলিক একটি আলোচনা করা উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাঁর সন্তুষ্টি সহকারে আমলের তাওফীক দিন।
দুটি বিষয় সামনে রাখুন:
প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সামনে রেখে করুন।
প্রতিটি কাজ সুন্নত অনুযায়ী করুন।
প্রথম বিষয়টি মোটামুটি সহজেই সবাই বুঝি, আলহামদুলিল্লাহ। কাজ শুরুর পূর্বেই একটু চিন্তা করুন, আমি যে কাজটি করছি তাতে আমার মাওলা ও মালিক রাজি আছেন তো? (কাজটি অবশ্যই কোনো গুনাহের কাজ নয়) আমি কেবল তাঁর সন্তুষ্টির জন্যই কাজটি করার সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করছি। (আর ‘এখন’ এই কাজটি করাও যায়। কারো তাতে কোনো কষ্টও হবে না ইনশাআল্লাহ, অন্যের কোনো হক নষ্ট হবে না)
দ্বিতীয় বিষয় হল, প্রতিটি কাজে অন্তত নিম্নোক্ত কাজগুলো সুন্নত ও আদবের মধ্যে পড়ে:
- বিসমিল্লাহ ও দরূদ শরীফ পড়ে শুরু করা
- আল্লাহ তাআলার কাছে কাজের সহজতা ও পরিণতির সুফল চাওয়া
- কাজটি ধীরে-সুস্থে করা
- কাজটি যথাযথভাবে করার চেষ্টা করা, এই একটি কথার মধ্যে অনেক কিছু; নিয়ম-শৃঙ্খলার সবকিছু এর মাঝে
- এস্তেগফার ও শোকরের সাথে কাজটি শেষ করা
এভাবে কিছুদিন মশক তথা অনুশীলন করলে দেখবেন প্রতিটি কাজে কত বরকত হয় ও সময়ের হেফাজত কত সহজ হয়ে যায়।
হে আল্লাহ! তুমি তাওফীক দান কর। আমীন।
Last Updated on December 12, 2024 @ 8:37 am by IslamInLife বাংলা
jazakallah
Great! May Allah reward you.
Aameen.
আমীন।