ফুযাইল বিন আয়ায রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৮৭ হিজরী : ৮০৩ খৃস্টাব্দ)

সৎপরায়ণ মনীষীদের আদর্শ বিদ্যাপীঠ। দেহমনে যিনি অমর লোকদের শীর্ষে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিলেন। যুহদ ও তাকওয়ার তকমা পরিধান করে নিজেকে করেছিলেন সুসজ্জিত। আত্মনিয়ন্ত্রিত ছিলেন সবসময়। ইসলাম যাকে নিজের নামটি অমর ব্যক্তিদের সারিতে লিখতে সুযোগদান করেছিল। সৎকর্মপরায়ণ পূর্বসূরিদের তিনি একজন। তিনি আবূ আলী ফুযাইল বিন আয়ায তামীমী খুরাসানী। নেতৃস্থানীয় মুসলিম দুনিয়াত্যাগীদের তিনি অন্যতম প্রধান ব্যক্তি।
জন্মগ্রহণ করেন সমরকন্দ শহরে। সেখানেই বেড়ে ওঠেন। জীবনের প্রথম দিকে চৌর্যবৃত্তি আর রাহাজানি ছিল যার পেশা ও বৃত্তি। একদিন তিনি বাড়ির ছাদের উপর ওঠেন। শুনতে পান এক ক্বারী সাহেব পবিত্র কুরআনের এই আয়াত তেলাওয়াত করছেন। (অনুবাদ) ‘যারা ঈমান আনে তাদের হৃদয় ভক্তি-বিগলিত হওয়ার সময় কি আসেনি, আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে?’ (সূরা হাদীদ, আয়াত : ১৬)।
আয়াতের মর্ম তার হৃদয়ে রেখাপাত করে। তিনি অনুশোচনামিশ্রিত অশ্রুবিধৌত কণ্ঠে বলে উঠলেন, অবশ্যই, কেন নয়, পরওয়ারদেগার! হৃদয় বিগলনের সময় হয়ে গেছে! এরপর তিনি বের হয়ে গেলেন ইলমের সন্ধানে। খোঁজতে থাকেন তাকওয়া। অবশেষে দেশ-বিদেশ সফর করে চলতে চলতে পৌঁছে গেলেন মক্কা শরীফে। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকতে লাগলেন। অবশিষ্ট জীবনটুকু বাইতুল্লাহ্ শরীফের প্রতিবেশী হয়ে কাটিয়ে দিলেন।
জীবনে তিনি একজন যাহিদ, দুনিয়াত্যাগী এবং খোদাভীত ছিলেন। আল্লাহ তাআলার সামনে কীভাবে মুখ দেখাবেন, এই ভয়ে তার ললাট সবসময় লাজুকতার ঘামে ঘর্মাক্ত থাকতো। যার বর্ণনা ইব্রাহীম ইবনুল আসআ’স দিচ্ছেন, ফুযাইলের মনে আল্লাহ তাআলাকে যেমন বড় ও মহীয়ান দেখিছি তা অন্য কারও মাঝে আমি দেখিনি। ফলশ্রুতিতে তিনি যখন আল্লাহ তাআলার যিকির করতেন কিংবা তার কাছে আল্লাহ তাআলার যিকির করা হতো তার মাঝে ভীতি প্রভাববিস্তার করতো। অতিশয় দুশ্চিন্তা থেকে চোখের জলে নয়ন ভাসতো।
সুফইয়ান ইবনে উয়াইনা রহ. বলেন, ফুযাইলের চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং ভীত আমি দেখিনি। তার প্রজ্ঞা ও হিকমতের কথা হৃদয়ে রেখাপাত করতো। প্রাজ্ঞ এই ব্যক্তিকে যুহদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, অল্পেতুষ্টি। প্রশ্ন করা হল, তাকওয়া কী? বললেন, হারাম বর্জন করা। জিজ্ঞাসিত হলেন, ইবাদত কী? জবাবে বললেন, ফরয আদায় করা। সওয়াল করা হল, বিনয় কী? বললেন, যা হক ও সত্য তা মেনে নেওয়া। তিনি বলতেন, মানুষের জন্য আমল ছেড়ে দেওয়া ‘রিয়া’ (লোকদেখানো ও লৌকিকতা)। মানুষের জন্য কোন আমল করা শিরক।
দুনিয়ার জীবন পার করে দিলেন। সারা জীবন হৃদয়রাজ্যে ভর করেছিল খোদাভীতি আর দুশ্চিন্তা। দু’ঠোঁটে স্পর্শ করেনি কোন হাসি। আবূ আলী রাযী রহ. বলেন, ত্রিশ বছর যাবৎ ফুযাইলের সঙ্গে ছিলাম। কখনও তাকে হাসতে দেখিনি। তবে যেদিন তার ছেলে মারা যায় সেদিন তিনি মুচকি হাসি দিয়েছিলেন। মৃদুমন্দ সেই হাসির কারণ সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা যা চাইলেন ও পছন্দ করলেন আমিও সেটা পছন্দ করলাম।
হযরত ফুযাইল রহ. নিঃসঙ্গতা পছন্দ করতেন। নির্জনতাপ্রিয় এক ব্যক্তি। প্রবৃত্তিকে নিজের আয়ত্তে রেখে কাবু করতে পেরেছিলেন। নির্জন হওয়ামাত্রই নিজেকে ওয়ায করতেন এবং তিরস্কৃত করতেন। বলতেন, লোকদের জন্য সাজগোছ করছো? এই কৃত্রিমতা লোক দেখানোর জন্যই। হে মন! সবসময় নিজেকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করার ফিকিরে থাকো। হরদম একটা প্রস্তুতি নিতে থাকো কীভাবে লোকসমাজে পরিচিত হতে পারো। অবশেষে তোমাকে মানুষ চিনতে পেরেছে। মানুষ বলেছে, (ফুযাইল) বড় ভালো মানুষ। নেককার ও সৎপরায়ণ। তারা তোমার জন্য সকল প্রয়োজন সেরে দিয়েছে। তারা তোমার জন্য মজলিসে জায়গা করে দিয়েছে। তোমাকে সমীহ করেছে। হে মন! এই যদি তোমার অবস্থা ধিক তোমাকে শত ধিক!! তোমার চেয়ে দুরবস্থা আর কারও নেই।
রাতের অন্ধকারে নামায পড়তে লালায়িত ছিলেন। মসজিদে তার একটা চাটাই ছিল। রাত যখন ছেয়ে যেতো এবং অন্ধকারে বাড়িঘর তলিয়ে যেতো তখন তিনি সটকে পড়তেন। চলে যেতেন সঙ্গোপনে মসজিদে। রাতের শুরুভাগ থেকে নামায পড়তে লাগতেন। ঘুম চেপে বসলে চাটাইয়ে শুয়ে পড়তেন। কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে আবার জেগে যেতেন। নামায পড়তেন। আবার ঘুমের বেগ হলে সামান্য সময় ঘুমিয়ে আবার জেগে যেতেন। নামায পড়তেন। এভাবে সকাল পর্যন্ত কাটাতেন।
ইবনুল আসআ’স রহ. রাতের কিছু অংশের বর্ণনা দিচ্ছেন। এক রাতে ফুযাইলকে দেখলাম। রাতে নামায পড়ছে আর কাঁদছে। মুখে এই আয়াতটি বারবার পড়ছেন, (অনুবাদ) ‘আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো, যতক্ষণ না আমি জেনে নিবো তোমাদের মধ্যে জিহাদকারী ও ধৈর্যশীলদেরকে এবং আমি তোমাদের ব্যাপারে পরীক্ষা করি।’ (সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত : ৩১)।
অশ্রুমিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, ‘যদি আমাদের পরীক্ষা কর তাহলে তুমি আমাদেরকে অপমানিত করবে। আমাদের গোপন সব তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। তুমি আমাদেরকে ধ্বংস করে দিবে এবং আমাদেরকে শাস্তি দিবে।’ এভাবে দীর্ঘক্ষণ কাঁদতে রইলেন।
তার কথামালায় আলো ও জ্যোতি ছিল। কথাগুলো হৃদয়ে বদ্ধমূল হওয়ার পূর্বে স্থির হতো না। তিনি লোকদেরকে তারস্বরে ওয়াযে বলছেন, দুনিয়া কোন থাকার জায়গা নয়। হযরত আদম আ. এসেছিলেন শাস্তিস্বরূপ। তিনি আরও বলেছেন, দুনিয়ায় যুহদ না করলে হৃদয়ে কোন দিন ঈমানের স্বাদ অনুভূত হবে না।
হৃদয়ের কঠোরতা প্রসঙ্গে বলেন, দুটি বিষয় মানুষের মনে কঠোরতা সৃষ্টি করে। ভূরিভোজন ও অতিকথন। আমীরুল মুমিনীন হারূনুর রশীদ বর্ণনা করছেন, ফুযাইল ইবনে আয়াযের মতো কোন ব্যক্তি আমার দু’চোখ দেখেনি। একদিন আমি তার কাছে গেলাম। তিনি আমাকে বললেন, খোদাভীতি ও আখেরাতের ফিকির হৃদয়ে জায়গা দিন। এই দুটি বিষয় হৃদয়ে স্থান করে নিলে আপনাকে গুনাহ থেকে বাঁচাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। একদিন আমি তাকে বললাম, আমাকে ওয়ায করুন। উপদেশ দিন। ফুযাইল বললেন, কীসের ওয়ায? এই দেখেন কুরআন শরীফ আছে। ভেবে দেখুন, যারা আল্লাহ তাআলার নাফরমানি করেছে তাদের পরিণতি কী হয়েছে। আর যারা আল্লাহ তাআলার আনুগত্য করেছে তাদের সুফল কেমন হয়েছে।
আমীরুল মুমিনীন হারূনুর রশীদ হজ্বে গেলেন। কোন একটি বিষয়ে তার মনে খটকা লাগলো। যার কারণে তার ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বাদশাহ ইবনে রবী’কে বললেন, দেখো তো মাসআলা জিজ্ঞেস করার মতো কাউকে পাও কিনা? সে বলল, হাঁ, এখানে সুফইয়ান ইবনে উয়াইনা আছেন। হারূনুর রশীদ বললেন, আমাকে তার কাছে নিয়ে চলো। দু’জন তার কাছে আসলেন। ইবনে রবী দরজায় কড়া নাড়লেন। সুফইয়ান বললেন, কে? ইবনে রবী বললেন, আমীরুল মুমিনীন এসেছেন। দরজা খুলুন। তিনি দ্রুত বের হলেন। বললেন, আমীরুল মুমিনীন! আপনি কষ্ট করে এসেছেন? বলতেন আমিই আপনার কাছে চলে যেতাম! যদি কাউকে পাঠাতেন তাহলেই হতো। হারূনুর রশীদের সাথে সুফইয়ান ইবনে উয়াইনার এক ঘন্টা আলোচনা হল। এরপর বাদশাহ হারূনুর রশীদ বললেন, আপনার কোন ঋণ আছে? তিনি বললেন, হাঁ। বাদশাহ ইবনে রবীকে বললেন, তার ঋণ আদায় করে দাও।
এরপর উভয়জন বের গেলেন। হারূনুর রশীদ বললেন, এমন মানুষ আরেকজন দরকার। ইবনে রবী বললেন, এখানে শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আছেন। হারূনুর রশীদ বললেন, আমাকে তার কাছে নিয়ে চলো। এখানেও সুফইয়ান সাওরী মতো আলোচনা হল। হারূনুর রশীদ বললেন, আপনার কোন ঋণ আছে? শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বললেন, হাঁ। হারূনুর রশীদ ইবনে রবীকে বললেন, তার ঋণ আদায় করে দাও। এরপর দু’জনে বের হয়ে গেলেন। বের হয়ে হারূনুর রশীদ বললেন, আমার জিজ্ঞাসা করার মতো কিছু বিষয় রয়ে গেছে। আরেক জন লোক খোঁজ করে বের কর। ইবনে রবী বলল, এখানে ফুযাইল ইবনে আয়ায আছেন। বাদশাহ হারূনুর রশীদ ও ইবনে রবী আসলেন। তখন তিনি নামায পড়ছিলেন। ইবনে রবী দরজার কড়া নাড়লেন। ফুযাইল বললেন, কে? ইবনে রবী বললেন, আমীরুল মুমিনীন এসেছেন। ফুযাইল বিন আয়ায বললেন, আমার সাথে আমীরুল মুমিনীনের কী সম্পর্ক?
ইবনে রবী বললেন, সুবহানাল্লাহ্! আমীরুল মুমিনীনের কথা মানা আপনার জন্য জরুরী নয়? দরজা খোলা হল। দেখা গেল, ফুযাইল দূরবর্তী একটি কোণে তখনও বসে আছেন। ঘরটি অন্ধকার ছিল। উভয়জন প্রবেশ করলেন। হাতড়িয়ে খোঁজতে থাকেন দু’জনই। হারূনুর রশীদের হাত সর্বপ্রথম ফুযাইলের গায়ে পড়ে। ফুযাইল বলল, কী দুর্ভোগ এই হাতের! আগামীকাল যদি আল্লাহ তাআলার আযাব থেকে রেহাই পায় তবে সেই হাত কতই না মোলায়েম! এরপর হারূনুর রশীদকে বললেন, শোনেন, উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহ. আমীরুল মুমিনীন হওয়ার পর খিলাফত ও রাষ্ট্রপরিচালনাকে বিপদ ও দায়িত্বের গুরুগম্ভীর বোঝা মনে করতেন। পক্ষান্তরে আপনি এবং আপনার মন্ত্রীপরিষদ এটাকে নেয়ামত মনে করছেন। তিনি পরামর্শ নেওয়ার জন্য উলামা কেরাম ডেকে একত্রিত করেছিলেন। তারা তাদের বক্তব্যে বলেছিলেন :
সালেম বলেছিলেন, দুনিয়া পরিত্যাগ করুন। ইফতার হবে মৃত্যুপ্রস্তুতি। ইবনে কা’ব বলেছিলেন, যদি আল্লাহ তাআলার আযাব থেকে রেহাই চান তাহলে বয়স্ক মুসলমানকে পিতা মনে করবেন। মধ্যম বয়সী লোকদেরকে ভাই মনে করবেন। অনুজদেরকে নিজের সন্তান মনে করবেন। সুতরাং পিতাকে সম্মান করুন। ভাইকে সমীহ করুন। সন্তানকে আদর-সোহাগ দিয়ে রাখুন।
রাজা বিন হায়াত বলেছিলেন, আল্লাহ তাআলার আযাব থেকে যদি নিস্তার চান তাহলে নিজের জন্য যা পছন্দ করেন মুসলমানদের জন্য তাই পছন্দ করুন। নিজের জন্য যা অপছন্দ করেন তাদের জন্যও তাই অপছন্দ করুন। এই অবস্থা হলে মরতে পারেন।
আমি আপনাকে এ কথা বলি। আপনার ব্যাপারে সর্বাধিক আশঙ্কা করি যে দিন পদস্খলন হবে। আমীরুল মুমিনীন, আপনার সাথে এমন কেউ থাকবে যিনি আপনাকে পরামর্শ দিবে? হারূনুর রশীদ খুব কাঁদলেন। এক পর্যায়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলেন। ইবনে রবী বললেন, ঠিক আছে আমীরুল মুমিনীন প্রতি সদয় হোন। ফুযাইল বললেন, ইবনে রবী, তুমি এবং তোমার মতো যারা আছো তোমরাই আমীরুল মুমিনীনকে ক্ষতি করছো। আমিই তাঁর প্রতি সদয়। এরপর বাদশাহ’র জ্ঞান ফিরে এলো। তিনি বললেন, আরও কিছু উপদেশ দিন।
ফুযাইল বললেন, হে সুদর্শন আমীরুল মুমিনীন! কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তাআলা জনসাধারণ সম্পর্কে কেবল আপনাকেই জিজ্ঞেস করবেন। যদি জাহান্নাম থেকে এই চেহারা বাঁচাতে পারেন তাহলে তার জন্য চেষ্ট করুন। হারূনুর রশীদ কাঁদলেন। এরপর বললেন, আপনার কোন ঋণ আছে? ফুযাইল বললেন, হাঁ। আমার পরওয়ারদেগার আমার কাছে কিছু ঋণ পাবেন। তিনি এখনও তার হিসাব গ্রহণ করেননি। যদি তিনি আমার কাছে তার হিসাব চান তাহলে তো আমার জন্য দুর্ভোগ। কড়ায় গ-ায় হিসাব নিলে তো আরও দুর্ভোগ। যথার্থ কারণ ও উত্তর যদি আমাকে না শেখানো হয় তাহলে তো আরও দুর্ভোগ।
হারূনুর রশীদ বললেন, আমি তো কেবল মানুষের ঋণ আদায়ে সহায়তা করি। আল্লাহ তাআলা আমাকে সেই কাজ করার তাওফীক দান করেছেন। ফুযাইল বললেন, আমার পরওয়াদেগার আমাকে সে কাজ করতে বলেননি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন কথা দিয়ে কথা রাখতে এবং তাঁর আনুগত্য করতে। হারূনুর রশীদ বললেন, এই হাজার দীনার গ্রহণ করুন। পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করুন এবং আপনার প্রতিপালকের ইবাদতে শক্তি সঞ্চার করতে এগুলো কাজে লাগান। ফুযাইল গ্রহণ করলেন না। বললেন, সুবহানাল্লাহ্! আমি আপনাকে মুক্তি পথ দেখাচ্ছি আর আপনি তার বদলে এগুলো সাধছেন!! আল্লাহ তাআলা আপনাকে হেফাজত করুন এবং তাওফীক দান করুন।
এরপর হারূনুর রশীদ বের হয়ে গেলেন। ইবনে রবীকে বললেন, আবুল আব্বাস! আমাকে আগামীতে কোন আলেমের কাছে নিয়ে আসলে এমন আলেমের নিকটই নিয়ে আসবে। এই লোক মুসলমানদের নেতা। মুসলিমপ্রধান ব্যক্তিত্ব।
মহান এই সাধক হিজরী ১৮৭ সালে মক্কা নগরীতে মারা যান।

 

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it