পবিত্র জীবনী (৮ম পাতা)
আমির ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবাইর রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১২৪ হিজরী : ৭৪১ খৃস্টাব্দ)
যিনি নিজেকে আল্লাহ তাআলা থেকে ছয়বার খরিদ করেছিলেন। ইন্তেকালের সময় যিনি সেজদা অবস্থায় ছিলেন। সততায় আলোয় যিনি দরিদ্র লোকদের রাতের আঁধার আলোকিত করেছিলেন। যাহিদ ও দুনিয়াবিমুখ। বুযূর্গ ও মুত্তাকী। রাতের বেলা নামায পড়ে আর দিনের বেলা রোযা রেখে কাটাতেন। গোটা জীবন সাদামাঠা কাটিয়েছেন। দুনিয়ার প্রতি বিমুখ এবং আখেরাতের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তিনি আমির ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইব...
সাবিত আলবুনানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১২৭ হিজরী : ৭৪৪ খৃস্টাব্দ)
যিনি নামায পড়েছিলেন নিজের কবরে। কল্যাণ ও বরকতের উৎস ও চাবিকাঠি। ইবাদতগুজরানে যাঁর হিস্যা ছিল সিংহভাগ। যুহদ ও দুনিয়াবিমুখিতায় যিনি ছিলেন একজন অশ্বারোহী। ছিলেন রাহমানুর রাহীমের ধ্বনি। যাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হতো কুরআনের তেলাওয়াত। প্রতিটি খুঁটির নিকট বসে কুরআন খতম করেছিলেন। যাঁর হৃদয়ে থাকতো অনুভূতিতে টইটম্বুর। তিনি সাবিত ইবনে আসলাম আলবুনানী রহ.। বিখ্যাত অনুসরণীয় ও আদর্শ ব...
মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৩০ হিজরী : ৭৪৮ খৃস্টাব্দ)
কান্নাকাটি করে যাঁরা দুনিয়ার জগতে আল্লাহ তাআলার প্রিয়বান্দা হওয়ার সৌভাগ্য লাভে করেছিলেন তিনি তাদের প্রধান কর্ণধার। চল্লিশ বছর ধরে নিজেকে নিকষিত করে দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আখেরাতের চিন্তায় যিনি ছিলেন বিভোর। রাতের শেষ প্রহরে ঝিরঝিরে বাতাসের ছোঁয়ায় যিনি নিজের হৃদয়কে করেছিলেন প্রশান্ত। দু’চোখের পানিতে নিজে অবগাহন করেছিলেন বহুবার। তিনি মুহাম্ম...
আইয়্যূব সিখতিয়ানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৩১ হিজরী : ৭৪৯ খৃস্টাব্দ)
যাঁর সিজদা দেখে যে কারও মনে হবে তিনি একজন ফিরিশতা। বসরা নগরবাসীর চেরাগ। বাতিঘর। যাঁর হৃদয়জুড়ে বাস করতো হিকমত ও প্রজ্ঞা। তাকওয়ার খোলসে বেঁধেছিলেন দুনিয়ার ডামাডোল। উলামাদের মধ্যমণি, উলামা-রত্ন। যুবসমাজের প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা এক যুবক। প-িতপ্রবর ও হাফেযে হাদীস। বসরা নগরীর যুবসমাজের প্রেরণার উৎস। তিনি আবূ বকর আইয়্যূব ইবনে আবী তামীমাহ কাইসান সিখাতিয়ানী। বসরা ন...
মালিক বিন দীনার রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৩১ হিজরী : ৭৪৯ খৃস্টাব্দ)
নিজের যুহদ, দুনিয়াবিমুখতা ও বুযর্গি দিয়ে জাগতিক মোহ দূরীভূত করেছিলেন। আল্লাহ তাআলার আনুগত্যে ও বন্দেগীতে যাঁর মন ভেঙে হয়েছিল অতি বিনীত। যিনি হৃদয়ের দোআরগুলো কল্যাণের জন্য উন্মুক্ত করেছিলেন। আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের জন্য যিনি নিজের শিরা-উপশিরায় ক্ষুধার আগুন প্রজ্বলিত করেছিলেন। এমন ঘরে জন্মগ্রহণ করেন যাদের হৃদয়পটে ঈমানের আসন ছিল সুদৃঢ়। যাদের অন্তরে ইয়াকীন ছিল ট...
মানসূর ইবনুল মু’তামির রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৩২ হিজরী : ৭৪৯ খৃস্টাব্দ)
মহরাবে যেভাবে পড়ে থাকতেন মনে হতো এখনই মারা যাবেন। পরকালের চিন্তা-ফিকিরে কাটিয়েছিলেন জীবনকাল। রাতের তিন ভাগের একভাগ কেঁদে কেঁদে কাটাতেন। নামায আর সিয়ামসাধনাই ছিল হৃদয়ের অন্তরঙ্গ বন্ধু। মনেপ্রাণে কামনা করতেন আখেরাত এবং দুনিয়া এড়িয়ে চলতেন। দেখলে মনে হতো রাজ্যের দুশ্চিন্তা মাথায় তুলে রেখেছেন। তিনি আবূ আত্তাব মানসূর ইবনুল মু’তামির ইবনে আব্দুল্লাহ সুলামী। হাদীস ও তাকওয়...
সাফওয়ান বিন সুলাইম রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৩২ হিজরী : ৭৪৯ খৃস্টাব্দ)
মহান আল্লাহ তাআলাকে কথা দিয়েছিলেন, চল্লিশ বছর ধরে শয্যায় পার্শ্বদেশ লাগাবেন না। না শোয়ার প্রতিজ্ঞা। যাঁর কথায় রোগী আরোগ্য লাভ করে। পীড়িত ব্যক্তির উপশম। যাঁর দোআ রিযিকের চাবিকাঠি। ফযীলত ও মর্যাদা লাভের জন্য যিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন। দৃষ্টিনন্দিত ব্যক্তি। হামীদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রা. এর আযাতকৃত গোলাম। তিনি আবূ আব্দুল্লাহ্ সাফওয়ান বিন সুলাইম ইবনে আওফ।
...
যিয়াদ ইবনে আবী যিয়াদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৩৫ হিজরী : ৭৫২ খৃস্টাব্দ)
যার কথায় রাজা-বাদশাহগণ কাঁদেন। আনুগত্য আর ইবাদত-বন্দেগী করে নিজেকে মার্জিত ও পরিশীলিত করেছিলেন। বিশ্রামের জন্য কখনও গা এলিয়ে দেননি। তার কথা হৃদয় ছুঁয়ে যায়। অশ্রুপাত হয়। তিনি যিয়াদ ইবনে আবী যিয়াদ মাদানী। আব্দুল্লাহ্ ইবনে আইয়্যাশ রহ. এর মুক্তপ্রাপ্ত দাস। বুযর্গ আল্লাহওয়ালা ফকীহ। আমলওয়ালা ইসলামী আইনজ্ঞ। যুহদ ও তাকওয়ার জগতে প্রবাদতুল্য ব্যক্তি। থাকতেন দাম...