পবিত্র জীবনী (১৩তম পাতা)
হাতিমুল আসাম্ম রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ২৩৭ হিজরী : ৮৫১ খৃস্টাব্দ)
এই উম্মতের লুকমান। দুনিয়া যাঁর জবানের কিনারায়ও পড়েনি। তহবন্দ পরিধানে অনুপম। গাফলতি থেকে জেগে ওঠেছিলেন। গুনাহ স্মরণ করে আল্লাহ তাআলা প্রতিশ্রুতি পেয়ে শান্ত হয়েছিলেন। তিনি হাতিম ইবনে উনওয়ান আবূ আব্দুর রহমান। আসাম্ম নামে যিনি পরিচিত।
যাহিদ ও দুনিয়াত্যাগী। তাকওয়া ও সাধনাখ্যাত লোক। বলখের অধিবাসী। বাগদাদ সফর করেছিলেন। হযরত আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর সাথে সাক্ষ...
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ২৪১ হিজরী : ৮৫৫ খৃস্টাব্দ)
ফেতনার অনলে দগ্ধ হয়ে যিনি সোনায় পরিণত হয়েছিলেন। ধৈর্য আর ঈমানের শক্তি দিয়ে যিনি বিপদ কাবু করেছিলেন। মায়ের উদরে যিনি ইমাম। কেমন যেন জন্মগতভাবেই তিনি শাস্ত্রবিশেষজ্ঞ ছিলেন। বিপদের সময় সিংহপুরুষ। সময়ের সেরা নরশার্দূল। দুনিয়ার ইমাম। অর্থকড়ির প্রতি নির্লিপ্ত। মানুষের পকেটের প্রতি যিনি লালায়িত নন। তিনি আবূ আব্দুল্লাহ্ আহমাদ ইবনে হাম্বল আশ্শাইবানী। মারওয়া বংশোদ্ভুত।
অনাথ অবস্থায় লালি...
সারী সাকতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ২৫৩ হিজরী : ৮৬৭ খৃস্টাব্দ)
যাঁর মুখে ঘুরে ফিরতো হিকমত ও প্রজ্ঞাসমৃদ্ধ জ্ঞানগর্ভ কথা। যার জাহির বাতিন সমান ছিল। বাহ্য ও গোপন সবখানে যিনি ছিলেন সততার মূর্তপ্রতীক। একবার হামদ ও আল্লাহ তাআলার প্রশংসার বিপরীতে ত্রিশ বছর ধরে আল্লাহ তাআলার নিকট ইস্তেগফার করেছেন। নিজের সুখ ও বিশ্রামের জন্য একটি পদক্ষেপও গ্রহণ করেননি। বিবেকের তাড়নায় যার আবেগ ছিল ভাস্বর। তিনি আবুল হাসান সারী ইবনুল মুগাল্লাস ...
আব্দুস সামাদ ইবনে উমর রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ৩৯৭ হিজরী : ১০০৬ খৃস্টাব্দ)
শয়তানের অংশ নেই যে ব্যক্তির মাঝে। শয়তানের প্রভাবমুক্ত এক মনীষী। মৃত্যু যাঁর সাথে হাসিমুখে আলিঙ্গন করেছিল। নিজের যা কিছু থাকতো লোকদেরকে দিয়ে দিতেন; কিন্তু মানুষের কাছে কী আছে তা জিজ্ঞেস করতেন না। তিনি আবুল কাসেম আব্দুস সামাদ ইবনে উমর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক। বিখ্যাত ওয়ায়েয ও বক্তা। যাহিদ ও সৎপরায়ণ। সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বি...